শশিভূষণ দে (৫-১১-১৮৬৮ –- ২১-৫-১৯৫৮) বৌবাজার–কলিকাতা। মদনগোপাল। ১৮ বৎসর বয়সে সিনিয়র কেমব্রিজ পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে কিছুদিন পিতারঅফিসে, পরে সোনা-রূপার দোকানে কাজ করার পর শেয়ার কেনাবেচার দালালির কাজে নিযুক্ত হন। স্টক এক্সচেঞ্জ অ্যাসোসিয়েশনের তিনি অন্যতম প্ৰতিষ্ঠাতা। তাঁর একমাত্ৰ সন্তান নিতাইচাঁদের মৃত্যুর পর কলিকাতা ছেড়ে কার্সিয়াঙে কিছুদিন বাস করেন। ১৯২২ খ্রী. মধ্য কলিকাতায় নিজের নামে বালকদের ও স্ত্রী রাজরাজেশ্বরীর নামে বালিকাদের জন্য দুটি অবৈতনিক বিদ্যালয় স্থাপন করেন ও ২৩-৬-১৯২৩ খ্রী. এক ন্যাসপত্রে কলিকাতা পৌরসংস্থার হাতে নবনির্মিত বিদ্যালয় ভবনটি অর্পণ করেন। ১৯২৫ খ্রী. স্ত্রীবিয়োগ হলে স্ত্রীর স্মৃতিরক্ষাকল্পে কালিম্পঙে রাজরাজেশ্বরী হল ও ক্লাব, বালিকা বিদ্যালয় ও শ্মশানে বিশ্রামাগার স্থাপন করেন। ১৯২৬ খ্রী. দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের মেয়র থাকাকালীন সময়ে কলিকাতার নেবুতলা লেনের নাম ‘শশিভূষণ দে স্ট্রীট’ করা হয়। ১৯৩২ খ্রী. কার্সিয়াঙে দেড় লক্ষ টাকা ব্যয়ে যক্ষ্মা হাসপাতাল নির্মাণকার্যে ডাঃ নীলরতন সরকার, ডাঃ কুমুদশঙ্কর রায় প্রমুখদের সাহায্যলাভ করেন। সেখানকার স্যানাটরিয়াম ও যাদবপুরের কুমুদশঙ্কর রায় যক্ষ্মা হাসপাতালের পরিচালক এবং কলিকাতা মেডিক্যাল অ্যান্ড রিসার্চ সোসাইটির অন্যতম আছি ছিলেন। ১৯৪১ খ্ৰী. ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক এমবিই উপাধিতে ভূষিত হন। বিভিন্ন সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, মূক-বধির ও অন্ধদের জন্য প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়গুলিতে ১৫ লক্ষেরও অধিক টাকা দান করেন। বৌবাজারের নিজ গৃহটি মেডিক্যাল এইড ও রিসার্চ কমিটিকে দিয়ে যান।
পূর্ববর্তী:
« শশিভূষণ দাশগুপ্ত
« শশিভূষণ দাশগুপ্ত
পরবর্তী:
শশিভূষণ বিদ্যালঙ্কার, চক্রবর্তী »
শশিভূষণ বিদ্যালঙ্কার, চক্রবর্তী »
Leave a Reply