শম্ভুনাথ পণ্ডিত (১৮২০ -– ৬-৬-১৮৬৭) ভবানীপুর-কলিকাতা। কাশ্মীরী পণ্ডিত বংশের সদাশিব। শম্ভুনাথ খুল্লতাতের কাছে পালিত হন এবং তাঁরই ইচ্ছায় লক্ষ্ণৌ থেকে উর্দু ও ফারসী শেখেন। ১৪ বছর বয়সে কলিকাতায় ফিরে ওরিয়েন্টাল সেমিনারীতে ভর্তি হন। ১৮৪১ খ্রী. স্কুল ত্যাগ করে সদর দেওয়ানী কোর্টের সহকারী রেকর্ড-কিপার নিযুক্ত হন। এখানে আইন বিষয়ে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে ১৮৪৫ খ্রী. রবার্ট বার্লোর অধীনে, ডিক্ৰীজারির মুহরীর পদ পান। এই সময়ে ডিক্ৰীজারির আইন সম্বন্ধে একটি গ্রন্থ রচনা করে আইনের দোষগুলির সমালোচনা করেন। ফলে তিনি সরকারের নিকট পরিচিত হন এবং তাঁরই নির্দেশমত দোষগুলি সংশোধিত হয়। ১৮৪৮ খ্রী. আইন পরীক্ষা পাশ করে অল্পদিনেই ফৌজদারী উকিলরাপে খ্যাত হন। মার্চ ১৮৫৩ খ্রী. জুনিয়র সরকারী উকিল, ১৮৫৫ খ্রী. কলিকাতার প্রেসিডেন্সী কলেজের আইন অধ্যাপক এবং ১৮৬২ খ্রী. সিনিয়র সরকারী উকিল হন। ১৮৬৩ খ্রী. হাইকোর্ট প্রতিষ্ঠিত হলে এদেশীয় প্রথম বিচারপতিরূপে আমৃত্যু কাজ করেন। হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকায় আইন বিষয়ে প্রবন্ধ রচনা করতেন। ভবানীপুর ব্ৰাহ্মসমাজের সভাপতি এবং ৩১-১০-১৮৫১ খ্রী. প্রতিষ্ঠিত ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য ছিলেন। ১৮৪৯ খ্ৰী. বেথুন স্কুল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি নিজ কন্যাকে ঐ স্কুলে প্রেরণ করেন। লাখেরাজ জমি সম্বন্ধে তাঁর মতামত এ সম্পর্কে বিচার-ব্যবস্থা সহজ করেছে। রেগুলেশন ল সম্পর্কে তাঁর রচনা এবং পিয়ার্সনের ‘বাক্যাবলী’ গ্রন্থে তাঁর আইন সম্পর্কে বঙ্গীকরণ উল্লেখযোগ্য। আদি ব্ৰাহ্মসমাজে ঈশ্বর সম্পর্কে তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা ‘On the being of God’।
পূর্ববর্তী:
« শম্ভুচন্দ্ৰ শেঠ
« শম্ভুচন্দ্ৰ শেঠ
পরবর্তী:
শম্ভুনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় »
শম্ভুনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় »
Leave a Reply