শচীন্দ্রনাথ সান্যাল (১৮৯৩ – জানু. ১৯৪৫) বারাণসী—উত্তরপ্রদেশ। হরিনাথ। বারাণসীতে বাঙালীটোলা স্কুলের ছাত্র ছিলেন। ১৯০৭ খ্রী. কলিকাতায় গুপ্ত বিপ্লবী দলে যোগ দিয়ে ১৯০৯ খ্রী. বারাণসীতে ‘ইয়ং ম্যানস অ্যাসোসিয়েশন’ নামে এক বিপ্লবী দল গঠন করেন। পরে প্রতুল গাঙ্গুলী, রাসবিহারী বসু প্ৰমুখদের সঙ্গে পরিচিত হন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তপ্রদেশের বিপ্লবী কর্মী নগেন্দ্রনাথ দত্ত ওরফে গিরিজাবাবুর মতই রাসবিহারী বসুর সহকারী হয়ে ভারতীয় সৈন্যদলের, বিশেষ করে ৭ম রাজপুত রেজিমেন্টের সাহায্যে ব্রিটিশ সরকার উচ্ছেদের পরিকল্পনায় অংশগ্ৰহণ করেন। লাহোর ও বেনারস ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত হয়ে ১৯১৫ খ্রী. যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। আন্দামান থেকে ১৯২০ খ্ৰী. মুক্তি পাবার পর পুনরায় বিপ্লবী সংগঠনে উদ্যোগী হন। তিনি উত্তরপ্রদেশ অঞ্চলে ‘হিন্দুস্থান রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনে’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ২৫-২-১৯২৫ খ্ৰী. বিদেশ থেকে অস্ত্ৰ আমদানী করে দেশকে মুক্ত করার চেষ্টায় গ্রেপ্তার হয়ে ২ বছর কারাদণ্ড ভোগ করেন। এইসময়েই কাকোরী ষড়যন্ত্র মামলায় জড়িয়ে তাঁকে ৬-৪-১৯২৭ খ্রী. পুনরায় যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর দণ্ড দেওয়া হয়। ১৯৩৭ খ্রী. মুক্তি পেলেও জাপানের সাহায্যে ভারতকে মুক্ত করবার ষড়যন্ত্রকারী সন্দেহে ১৯৪১ খ্রী. পুনর্বার গ্রেপ্তার হন। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় জেলের মধ্যে যক্ষ্মরোগাক্রান্ত হলে সরকার তাকে মুক্তি দেয়। গোরখপুরে অন্তরীণ থাকা কালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর রচিত ‘বন্দীজীবন’ গ্ৰন্থ এক সময় বিপ্লবীদের যথেষ্ট প্রেরণা দিয়েছে। কিছুদিন তিনি ‘অগ্রগামী’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
পূর্ববর্তী:
« শচীন্দ্রনাথ মিত্ৰ
« শচীন্দ্রনাথ মিত্ৰ
পরবর্তী:
শচীন্দ্রলাল করাগুপ্ত »
শচীন্দ্রলাল করাগুপ্ত »
Leave a Reply