লাবণ্যলতা চন্দ (১৮৯১ –- ৪-৭-১৯৬৯) ময়মনসিংহ। শ্ৰীনাথ চন্দ। বি-এ পাশ করে কুমিল্লা ফৈজন্নেসা গার্লস স্কুলের শিক্ষিকা ও পরে প্রধান শিক্ষিকা হন। ১৯৩০ খ্রী. আইন অমান্য আন্দোলনের সময় ‘অভয় আশ্রমে’র সংস্পর্শে এসে সরকারী বিদ্যালয় ছাড়েন এবং অভয় আশ্রমের তত্ত্বাবধানে কন্যা-শিক্ষালয় প্রতিষ্ঠা করেন। সেখান থেকে রাজনৈতিক আন্দোলনে যোগ দিয়ে কয়েকবার কারাবরণ করেন। ত্ৰিশের দশকে নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটিতে তিনি বঙ্গের একমাত্র মহিলা সদস্য এবং ১৯৩৮ খ্রী. বঙ্গীয় প্ৰাদেশিক কংগ্রেস কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ১৯৩৪ খ্ৰী. কলিকাতায় বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্ৰ খোলেন। ১৯৪০ খ্রী. কুমিল্লায় তা স্থানান্তরিত করেন। ভারত ছাড়ো আন্দোলনে গ্রেপ্তার হন। আগেও কারাবরণ করেছেন। ১৯৪৩ খ্ৰী. রাজনৈতিক বন্দীদের দুর্দশাগ্ৰস্ত শিশুদের জন্য ঝাড়গ্রাম ও ঢাকার তাজপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে মোট তিনটি শিশুসদন খোলেন। ১৯৪৫ খ্রী. খড়গপুরের কাছে বলরামপুরে সাধারণ ব্ৰাহ্মসমাজ নামমাত্র ইজারায় বঙ্গীয় নঈ তালিম সংঘকে ৪০ বিঘা জমি দেয়। ডাঃ নৃপেন বসু ও ড. প্ৰফুল্ল ঘোষ কর্তৃক সংগৃহীত অর্থে তিনি সেখানে নঈ তালিম সঙ্ঘের প্রধানকেন্দ্ৰ স্থাপন করেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গে নঈ তালিম সংঘ, কস্তুরবা স্মারক নিধি ও গান্ধী স্মারক নিধির প্রথম সঞ্চালক। বৃদ্ধ বয়সে ‘ভূদান যজ্ঞে’র কাজের সঙ্গেও যুক্ত হয়েছিলেন।
পূর্ববর্তী:
« লাবণ্যপ্ৰভা বসু, সরকার
« লাবণ্যপ্ৰভা বসু, সরকার
পরবর্তী:
লাল মাহমুদ »
লাল মাহমুদ »
Leave a Reply