লক্ষ্মণ সেন (১১১৯? – ১২০৫?) গৌড়। রাজা বল্লাল সেন। লক্ষ্মণ সেন ১১৭৮/৭৯ খ্রী. সিংহাসনে আরোহণ করেন। তাঁর সেনরাজগণ শিবের উপাসক হলেও তিনি ছিলেন বৈষ্ণব ধর্মানুরাগী। বিদ্বান এবং বিদ্যোৎসাহী তিনি পিতারআরব্ধ ‘দানসাগর’ গ্ৰন্থ সম্পূর্ণ করেন। প্রসিদ্ধ কবি জয়দেব, ধোয়ী, শরণ, উমাপতি ধর প্রভৃতি তাঁর রাজসভায় অধিষ্ঠিত ছিলেন। পণ্ডিতপ্রবর হলায়ুধ ছিলেন তাঁর প্রধান বিচারপতি। গাহড়বালরাজ জয়চন্দ্ৰকে পরাজিত করে তিনি মগধ অধিকার করেন। ১২শ শতাব্দীর শেষভাগে কুতুবদিনের সেনাপতি ইখতিয়ার-উদ্দিন মহম্মদ-বিন-বখতিয়ার খলজী এক আকস্মিক আক্রমণে তাকে পরাজিত করতে সমর্থ হন। তিনি নদীয়া ত্যাগ করে পূর্ববঙ্গে আশ্রয় নেন। সেখানে তিনি এবং পরবর্তীকালে তাঁর বংশধরগণ দীর্ঘকাল মুসলমান আক্রমণ প্রতিহত করে স্বাধীনভাবে রাজত্ব করতে সমর্থ হয়েছিলেন। তাঁরই সভায় থেকে কবি জয়দেব ‘গীতগোবিন্দ’ রচনা করেন। তাঁর নামানুসারে এবং সম্ভবত তাঁর জন্ম-সাল থেকে মিথিলায় ‘লক্ষ্মণসংবৎ’ নামে একটি অব্দ প্রচলিত আছে।
পূর্ববর্তী:
« লক্ষ্মণ দিগর
« লক্ষ্মণ দিগর
পরবর্তী:
লক্ষ্মীকান্ত »
লক্ষ্মীকান্ত »
Leave a Reply