রূপ গোস্বামী (আনুমানিক ১৪৮৯ — ১৫৬৪) ফতেয়াবাদ — ফরিদপুর। পিতা–কর্ণাটরাজ অনিরুদ্ধদেবের বংশধর কুমারদেব। পিতামহ জ্ঞাতিকলহে পৈতৃকনিবাস নবহট্ট (বর্তমান নৈটাটি) ত্যাগ করে। ফতেয়াবাদে এসে বাস করেন। বৃন্দাবনের ষড় গোস্বামীর অন্যতম। তিনি চৈতন্যদেবের শিষ্যত্ব গ্ৰহণ করে বৈষ্ণবধর্মের মাহাত্ম্য প্রচার করেন। পিতৃদত্ত নাম সন্তোষ, শ্ৰীচৈতন্য-প্রদত্ত ‘রূপ’ নামে সমধিক প্ৰসিদ্ধ হন। গৌড়েশ্বর হোসেন। শাহের উজির ও পরে প্রধান অমাত্য পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ১৫১৩ খ্রী. রামকেলী গ্রামে। চৈতন্যদেব এলে গৌড়ের রাজমন্ত্রী সাকির মল্লিক সনাতন ও তাঁর ভ্ৰাতা দবিরখাস রূপ চৈতন্যদেবের পদধূলি নেন এবং রাজকাৰ্য পরিত্যাগ করে বৃন্দাবনে চলে আসেন। সংস্কৃতে সুপণ্ডিত ছিলেন। ৪৩ বছর বয়সে তিনি চৈতন্যদেবের আদেশে বৈষ্ণবগ্ৰন্থ রচনা শুরু করেন। রচিত গ্ৰন্থ: ‘হংসদূত’, ‘উদ্ধবসন্দেশ’, ‘দানকেলি কৌমুদী’, ‘ভক্তিরসামৃতসিন্ধু’, ‘উজ্জ্বলনীলমণি, লঘু গণোদ্দেশদীপিকা’, ‘গঙ্গাষ্টক’, ‘বিদগ্ধ মাধব’, ‘ললিত মাধব’ প্রভৃতি। মহাপ্রভুর নির্দেশে তিনি রসশাস্ত্র নিরূপণ, লুপ্তর্তীর্থ উদ্ধার ও কৃষ্ণভক্তিপ্রচারে জীবন অতিবাহিত করেন। তিনি এবং তাঁর অগ্রজ সনাতন, ভ্রাতুষ্পুত্র জীব, গোপাল ভট্ট, রঘুনাথ ভট্ট, রঘুনাথ দাস–বৃন্দাবনের এই ছয়জন গোস্বামী গৌড়ীয় ‘বৈষ্ণবরসতত্ত্ব’ ও মঞ্জরী-ভাবের উপাসনা-রীতির প্রবর্তক।
পূর্ববর্তী:
« রূদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত
« রূদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত
পরবর্তী:
রূপচাঁদ অধিকারী »
রূপচাঁদ অধিকারী »
Leave a Reply