রামকমল সেন (১৫-৩-১৭৮৩ -– ২-৮-১৮৪৪) গরিফা–চব্বিশ পরগনা। গোকুলচন্দ্ৰ। গ্রামে এক পাদ্রীর স্কুলে ও কলিকাতার রামজয় দত্তের স্কুলে ইংরেজী এবং বাড়িতে সংস্কৃত শেখেন। ১৮০০ খ্ৰী. কলিকাতার চীফ ম্যাজিস্ট্রেট মি, নেমীর অধীনে এবং ১৮০৩ খ্রী. গভর্নমেন্টের সিভিল আর্কিটেক্টের অধীনে শিক্ষানবিশী করেন। ১৮০৪ খ্রী. ডা. উইলিয়াম হান্টারের হিন্দুস্থানী প্রিন্টিং প্রেসে কম্পোজিটর ও পরে তত্ত্বাবধায়ক হন। ১৮১৭ খ্রী. এশিয়াটিক সোসাইটির সভার কেরানীর কাজে নিযুক্ত হয়ে কার্যকুশলতার জন্য ক্রমে ঐ সভার সম্পাদকের পদ লাভ করেন। ১৮২৮ খ্রী. ডা. উইলসনের অধীনে টাকশালের দেওয়ান হন। ১৪-১১-১৮৩২ খ্রী. বেঙ্গল ব্যাঙ্কের দেওয়ান নির্বাচিত হয়ে আমৃত্যু ঐ পদে ছিলেন। জানুয়ারী ১৮২৩ খ্রী. হিন্দু কলেজের অধ্যক্ষ, জুন ১৮৩৫ খ্রী. থেকে ১-১-১৮৩৯ খ্ৰী. পর্যন্ত সংস্কৃত কলেজের সেক্রেটারী, কলিকাতা মেডিক্যাল কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, সুপারিশ কমিটির সভ্য, ১৮৩৩ খ্রী. সরকারী বীমা কোম্পানীর সাব-কমিটির একমাত্র বাঙালী সভ্য, সেভিংস ব্যাঙ্ক কমিটির সভ্য, ডিস্ট্রিক্ট চ্যারিট্যাবল সোসাইটির সভ্য, সোসাইটির হাসপাতালের অধ্যক্ষ এবং জমিদার-সভার প্ৰতিষ্ঠাতা ও নিয়মাবলী-রচয়িতা ছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময় সভাসমিতিতে বক্তৃতা ও সভাপতিত্ব করেন। পাদরী কেরীর সহযোগিতায় ১৮২৩ খ্রী. তিনি অ্যাগ্রিকালচারাল অ্যান্ড হর্টিকালচারাল সোসাইটির প্ৰতিষ্ঠা করেন এবং ১৮৩৭ খ্রী. তাঁর সহকারী সভাপতি হন। ডাঃ ওয়ালিচ নামে জনৈক দিনেমার উদ্ভিদ-তত্ত্ববিদ রামকমলের সহায়তায় কলিকাতা যাদুঘরের সূচনা করেন। তাঁর চেষ্টায় মুমূর্ষূ ব্যক্তিদের গঙ্গায় ডুবিয়ে মারা, চড়কে শূলে বিদ্ধ হওয়া ইত্যাদি কুপ্রথা নিবারিত হয়েছিল। তিনি ডিরোজিও ও তাঁর ছাত্র ‘ইয়ং বেঙ্গল’ দলের বিরোধী ছিলেন। ডিরোজিও অপসারণে তাঁর অগ্রণী ভূমিকা ছিল। তাঁর সঙ্কলিত ‘ইংরেজী-বাংলা অভিধান’ দেশীয় লোকের সম্পাদিত প্ৰথম অভিধান। ১৮১৭ খ্রী. এর সঙ্কলন কাজ শুরু হয়। এই কাজে তিনি কিছুদিন ফেলিক্স কেরীর সহায়তা পেয়েছিলেন। তাঁর রচিত গ্ৰন্থ : ‘ঔষধসার-সংগ্ৰহ, ‘নীতিকথা’, ‘হিতোপদেশ’ প্রভৃতি। ব্ৰহ্মানন্দ কেশবচন্দ্ৰ তাঁর পৌত্র।
পূর্ববর্তী:
« রামকমল সিংহ
« রামকমল সিংহ
পরবর্তী:
রামকানাই দত্ত »
রামকানাই দত্ত »
Leave a Reply