রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ (৭-২-১৮৩৯ — ২৫-১১-১৯৪৭) বন্দ্য কাওয়ালজানি-ময়মনসিংহ। জন্ম একচক্রা–বীরভূম। গৌরমোহন চট্টরাজ। দীর্ঘজীবী এই ব্ৰাহ্মণ একাধারে অনন্যসাধারণ পণ্ডিত এবং শাস্ত্রবিদ হয়েও সাংবাদিকতা ও কাব্যচর্চা করে গেছেন। পিতার কর্মক্ষেত্র মুর্শিদাবাদে এক মিশনারী সাহেবের কাছে ইংরেজী শেখেন। ঢাকার মেডিক্যাল কলেজে ক্যাজুয়াল স্টুডেন্ট হিসাবে চার বছর পড়েন। যৌবনে কাশীতে থেকে পরমহংস সর্ববিদ্যানন্দ স্বামীর কাছে ভাগবত অধ্যয়ন করে বৈদিক সাহিত্যে পাণ্ডিত্য লাভ করেন। নিজের অধ্যবসায়ে বিভিন্ন পাঠাগারে অধ্যয়ন করে ক্রমে জীবন্ত বিশ্বকোষ হয়ে ওঠেন। রংপুরে চিকিৎসা ব্যবসা করা কালে সেখানে ‘সরস্বতী’ ও ‘পারিজাত’ নামে দুটি মাসিক পত্রিকা নিজের সম্পাদনায় প্ৰকাশ করেন। পরে কলিকাতার হাটখোলায় চিকিৎসা ব্যবসা এবং অধ্যয়ন অধ্যাপনায় ব্যাপৃত হন। এখানে শিশিরকুমার ঘোষের সঙ্গে পরিচিত হলে, তিনি তাকে ‘আনন্দবাজার’ ও ‘বিষ্ণুপ্রিয়া’ পত্রিকার সম্পাদনার ভার দেন এবং উভয়েই মহাপ্রভুর প্রেমধর্ম প্রচারে ব্ৰতী হন। ১৮৯৯ খ্রী. প্রতিষ্ঠিত শ্ৰীগৌরাঙ্গ সমাজের সম্পাদক হয়েছিলেন। মূল ও টীকা সমেত তাঁর রচিত প্রায় ৩০টি গ্রন্থ আছে। তাঁর মধ্যে ‘জগন্নাথবল্লভ’ নাটকের বঙ্গানুবাদ, ‘অদ্বৈতবাদ’ নামে দর্শনগ্রন্থ, ‘চন্ডীদাস ও বিদ্যাপতি’ নামে গবেষণাগ্রন্থ প্রভৃতি বিখ্যাত। বহু বৈষ্ণব-জীবনী ও সাপ্তাহিক ‘প্রেমপুষ্প’ পত্রিকা সম্পাদনা করেছিলেন।
পূর্ববর্তী:
« রসিকমোহন চট্টোপাধ্যায়
« রসিকমোহন চট্টোপাধ্যায়
পরবর্তী:
রসিকলাল চক্রবর্তী »
রসিকলাল চক্রবর্তী »
Leave a Reply