রমেশচন্দ্র সেন (৭-৫-১৩০১ -– ১৮-২-১৩৬৯ ব)পিঞ্জরী-কোটালিপাড়া-ফরিদপুর। ক্ষীরোদচন্দ্ৰ। প্রগতিবাদী লেখক ও প্রতিষ্ঠাবান কবিরাজ। প্রথম জীবনে তিনি পিতারকাছে ও পরে হাতিবাগানস্থ পণ্ডিত সীতানাথ সাংখ্যাতীর্থের চতুষ্পাঠীতে সংস্কৃত শিক্ষা করেন। এই সময়ই তিনি প্ৰাইভেট ছাত্র হিসাবে প্ৰবেশিকা পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হন। ১৯১৭ খ্রী. তিনি বাংলা সাহিত্যে প্ৰথম স্থান অধিকার করে ইংরেজীতে অনার্সসহ বি.এ. পাশ করেন। পিতৃবিয়োগের ফলে এমএ ক্লাশের পড়া বন্ধ করে তিনি পৈতৃক আয়ুৰ্বেদীয় চিকিৎসাতে আত্মনিয়োগ করেন। কর্মক্ষেত্র কলিকাতা। ১২ আষাঢ় ১৩১৮ বা তিনি ‘সাহিত্য সেবক সমিতি’ নামে একটি সাহিত্য-চক্রের প্রতিষ্ঠা করেন। বহু প্রথিতযশা সাহিত্যিক এই সমিতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হয়েছিলেন। তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘শতাব্দী’ (১৩৫২ ব-) বিশেষ প্ৰশংসিত হয়েছিল। পরিণত জীবনে রচিত উপন্যাস ‘কুরপালা’ ও ‘গৌরীগ্রাম’। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্ৰন্থ: ‘মালঙ্গীর কথা’, ‘চক্ৰবাক’, ‘কাজল’, ‘পূব থেকে পশ্চিম’, ‘সাগ্নিক’ প্রভৃতি। ‘মৃত ও অমৃত’, ‘তারা তিন জন’, ‘সাদা ঘোড়া’, ‘রাজার জন্মদিন’ প্রভৃতি ছোটগল্প উল্লেখযোগ্য। এদের মধ্যে কোনও কোনও গল্প ইংরেজী, চেকোশ্লোভাক, হিন্দী প্রভৃতি বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। লব্ধপ্ৰতিষ্ঠ চিকিৎসক হিসাবেও তাঁর যথেষ্ট খ্যাতি ও প্রতিপত্তি ছিল। তিনি ১৯১৮-১৯ খ্রী মাদ্রাজে অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত আয়ুৰ্বেদ সম্মেলনে সংস্কৃত ভাষায় বক্তৃতা দিয়ে ‘বিদ্যানিধি’ উপাধিতে ভূষিত হন। রাজনৈতিক কাৰ্যকলাপের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ ছিল।
পূর্ববর্তী:
« রমেশচন্দ্র মজুমদার
« রমেশচন্দ্র মজুমদার
পরবর্তী:
রমেশচন্দ্ৰ ভট্টাচাৰ্য »
রমেশচন্দ্ৰ ভট্টাচাৰ্য »
Leave a Reply