রমেশ আচাৰ্য (১৮৮৭ — ১৯৬৫) বানারি-ঢাকা। কালীপ্রসন্ন। ময়মনসিংহ থেকে প্ৰবেশিকা ও এফ-এ পাশ করেন। ছাত্রজীবনে শিক্ষক ও পিতামাতার প্রেরণায় জাতীয়তাবাদী আন্দোলন সংগঠন করেন। বিএ ক্লাশে ভর্তি হওয়ার জন্য সংগৃহীত সব অর্থ তিনি ঢাকা সোনারং জাতীয় বিদ্যালয়ে দান করেন। পুলিন দাসের প্রেরণায় ১৯০৭ খ্রী. বিপ্লবী দলে যোগ দেন। ১৯১০ খ্রী. বিপ্লবী দলের ময়মনসিংহ জেলা সংগঠকের দায়িত্ব গ্ৰহণ করেন। ১৯১০ – ১১ খ্রী. সোনারং জাতীয় বিদ্যালয়ে শিক্ষক ছিলেন। ১৯১১ খ্রী. একবার গ্ৰেপ্তার ও দণ্ডিত হন। মুক্তি পেয়ে বিপ্লব সংগঠন ও অস্ত্রশস্ত্ৰ সংগ্রহের কাজ আরম্ভ করেন। তাঁর গুপ্ত সংগঠন গড়ার বিশেষ ক্ষমতা ছিল। বরিশাল ষড়যন্ত্র মামলায় (১৯১৩) গ্রেপ্তার হয়ে ১২ বছরের জন্য কারাদণ্ডিত হন। ১৯২০ খ্রী. বিপ্লবীদের সঙ্গে সরকারের সন্ধি হওয়ায় অন্যান্যদের সঙ্গে তিনিও মুক্তি পান। কংগ্রেসের নাগপুর অধিবেশনে যোগ দিলেও অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন নি। শাঁখারিটোলা ডাকাতির (১৯২৩) ব্যাপারে পুলিস তাঁর খোঁজ-খবর আরম্ভ করায় তিনি আত্মগোপন করেন। ১৯২৪ খ্রী. ধরা পড়েন ও ১৯২৮ খ্রী. মুক্তি পান। ১৯৩০ খ্রী. চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার আক্রমণের ঘটনায় তাকে পুনরায় গ্রেপ্তার করে। ৮ বছর আটক রাখা হয়। মুক্তিলাভের পর গুপ্ত ঘাঁটি গড়ে তোলার চেষ্টায় দক্ষিণ ভারত পর্যটনে বের হন। মাদ্রাজ সরকার তাদের এলাকা থেকে তাঁর বহিষ্কারের আদেশ দেন। ১৯৪০ খ্রী। রামগড় কংগ্রেসে যোগ দেন। ঘাটশিলায় যুব কংগ্রেসে সভাপতির ভাষণের জন্য পুনরায় গ্রেপ্তার হন। ১৯৪৬ খ্রী মুক্তি পান। দেশ স্বাধীন হবার পর সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নেন। এই অকৃতদার বিপ্লবী নারীমুক্তি ও বিধবাবিবাহে উৎসাহী এবং সংস্কৃত সাহিত্যে পণ্ডিত ছিলেন। টুর্গেনিভ ও টলস্টয়ের রচনা এবং মার্ক্সবাদ নিয়ে পড়াশুনা করেছিলেন।
পূর্ববর্তী:
« রমেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
« রমেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
পরবর্তী:
রমেশ শীল »
রমেশ শীল »
Leave a Reply