রতনমণি চট্টোপাধ্যায় (১৮৯৩ – ২৫-৯-১৯৭৩) বালি—হাওড়া। বিশ্বনাথ। প্রখ্যাত গান্ধীবাদী নেতা ও বাংলা ‘হরিজন’ পত্রিকার সম্পাদক। ফিলসফিতে অনার্স নিয়ে বি.এ. পাশ করেন। ছাত্রাবস্থা থেকেই তিনি বিপ্লববাদী শিক্ষক সতীশ সেনগুপ্ত এবং বিপ্লব-সংগঠক আশুতোষ দাসের সঙ্গে মিলিত হয়ে বালিতে সমিতি প্ৰতিষ্ঠা করেন। ১৯২০ খ্রী. তিনি মহাত্মা গান্ধীর অহিংসার আদর্শে উদ্ধৃদ্ধ হন ও ১৯২১ খ্রী. অসহযোগ আন্দোলনে কারাবরণ করেন। পরবর্তী কালে আরও কয়েকবার তাকে কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়েছিল। ১৯৩৩ খ্রী. কয়েকমাস তিনি বঙ্গীয় আইন অমান্য পরিষদের ডিক্টেটর এবং ১৯৪০–৪১ খ্রী. হুগলী জেলায় ব্যক্তিগত সত্যাগ্ৰহ পরিচালনার ভারপ্রাপ্ত ছিলেন। ১৯৪২ খ্রী. ‘ভারত-ছাড়’ আন্দোলনকালে কারারুদ্ধ হন। মুক্তিলাভের পর ১৯৪৩–৪৪ খ্ৰী. দুৰ্ভিক্ষ দূরীকরণের কাজে আত্মনিয়োগ করেন। ১৯৫২ খ্ৰী. তিনি একবার পশ্চিমবঙ্গ বিধান সভার সদস্য নির্বাচিত হন। গান্ধীবাদের একনিষ্ঠ প্ৰবক্তারূপে বাংলা ‘হরিজন’ পত্রিকার সম্পাদনায় ও বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় মননশীল প্ৰবন্ধাদি লিখে সর্বসাধারণের নিকট সমাদৃত হন। তিনি আশুতোষ চক্ষু চিকিৎসা সমিতির প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি ছিলেন। দেশীয় খেলা, বিশেষ করে কপাটি খেলা জনপ্রিয় করার জন্য বালিতে ‘চন্দ্ৰশেখর কপাটি কাপ প্ৰতিযোগিতা’ প্ৰচলন করেন। তাঁর প্রচেষ্টায় ‘বালি সাধারণ গ্ৰন্থাগারে’র যথেষ্ট উন্নতি হয় এবং বালিতে ‘বহুমুখী সমবায় সমিতি’ প্রতিষ্ঠিত হয়।
পূর্ববর্তী:
« রতনমণি
« রতনমণি
পরবর্তী:
রত্নেশ্বর মুখোপাধ্যায় »
রত্নেশ্বর মুখোপাধ্যায় »
Leave a Reply