রজনীকান্ত গুপ্ত (১৩-৯-১৮৪৯ – ১৩-৬-১৯০০) তেওতা-ঢাকা। কমলাকান্ত। কলিকাতা সংস্কৃত কলেজে এন্ট্রান্স শ্রেণী পর্যন্ত পড়েন। শারীরিক অসুস্থতার জন্য স্কুল ছাড়েন। পিতারকবিরাজি বা সরকারী চাকরি কোনটাই পছন্দ না করে লেখকের জীবিকা গ্ৰহণ করেন। নিজ অধ্যবসায়াবলে বাংলা রচনায় এতদূর পারদর্শী হন যে, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে এফ.এ. ও বি-এ পরীক্ষায় বাংলা রচনার পরীক্ষক নিযুক্ত করেন। সামান্য পারিশ্রমিকে ‘এড়ুকেশন গেজেট’ পত্রিকায় ঐতিহাসিক প্ৰবন্ধ লিখতেন এবং ১২৮৮ বা ‘বঙ্গবাসী’ পত্রিকা প্ৰকাশিত হলে তাঁর লেখকশ্রেণীভুক্ত হন। ১৯৭৪-১৮৯৪ খ্রী.বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের প্রথম অধিবেশনের দিন থেকেই তিনি তাঁর সদস্য ও কাৰ্যনির্বাহক সমিতির সভ্য এবং পরিষদের মুখপত্র ‘সাহিত্য-পরিষৎ পত্রিকা’র প্রথম সম্পাদক ছিলেন। তিনি ‘জয়দেবচরিত’ শীর্ষক প্ৰবন্ধ লিখে শৌরীন্দ্রমোহন ঠাকুরের কাছে পুরস্কৃত হয়েছিলেন। ‘চরিতমালা’, ‘নবচরিত’, ‘প্রতিভার পরিচয়’, ‘বীর মহিলা’, ‘ভীষ্মচরিত’, ‘আর্যকীর্তি’ প্রভৃতি গ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর রচিত ‘সিপাহী যুদ্ধের ইতিহাস’ (৫ খণ্ড) বাংলায় ঐতিহাসিক সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য সংযোজন। এই গ্রন্থের ৩য় খণ্ড প্ৰকাশ করতে বাঙালী প্ৰকাশকগণ ভয় পেয়েছিলেন। তাঁর রচিত ‘দেশীয় মুদ্রাযন্ত্র-বিষয়ক প্ৰস্তাব’ পুস্তিকায় ভারতীয় সংবাদপত্রের ইতিহাস পাওয়া যায়। সাহিত্য পরিষদ তাঁরই প্রস্তাবমত ভূগোল, অঙ্ক, বিজ্ঞান ইত্যাদি পড়ানোর জন্য পরিভাষা সমিতি গঠন করে।
পূর্ববর্তী:
« রজতকুমার সেন
« রজতকুমার সেন
পরবর্তী:
রজনীকান্ত গুহ »
রজনীকান্ত গুহ »
Leave a Reply