রঙ্গীনচন্দ্ৰ হালদার (৪-৩-১৮৯২ -– ৯-১২-১৯৭৯) বিদগাঁ-বিক্রমপুর, ঢাকা। প্রমদাকান্ত। শৈশবকাল নোয়াখালিতে কাটে। ১৯১১ খ্রী. ম্যাট্রিক পাশ করে কলিকাতায় পড়তে আসেন। ১৯১৫ খ্রী. বি-এ পাশ করে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েবু সদ্য-প্রবর্তিত ‘পরীক্ষামূলক মনস্তত্ত্ব’ বিভাগে প্রথমবারের ছাত্র হিসাবে যোগ দেন। এ সময়ে ঐ বিভাগের প্রথম গবেষক-অধ্যাপক খ্যাতনামা গিরীন্দ্ৰশেখর বসুর সংস্পর্শে আসেন ও বসু পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা জন্মে। পার্শীবাগানে গিরীন্দ্ৰশেখরের গৃহে অনুষ্ঠিত ‘উৎকেন্দ্ৰিক সভা’র তিনি সভ্য ছিলেন। মনস্তত্ত্ব-সম্পর্কিত বিষয়। অধ্যয়নের সঙ্গে সঙ্গে ‘সাইকো-অ্যানালিটিক সোসাইটি’রও প্রবর্তক সভ্য হন। এমএ পাশ করে ১৯১৮ খ্রী. পাটনার বিহার ন্যাশনাল কলেজে দৰ্শন ও মনস্তত্ত্বের অধ্যাপক হিসাবে যোগ দেন এবং ১৯৫৪ খ্রী. পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান শাখার বিভাগীয় অধ্যক্ষ হিসাবে অবসর গ্ৰহণ করেন। ‘ভারতবর্ষ’ পত্রিকায় তাঁর লিখিত ‘মনোবিকার’ প্ৰবন্ধগুচ্ছ সম্ভবতঃ বাংলা ভাষায় মনস্তত্ত্বের প্রথম আলোচনা। তিনি মনোবিশ্লেষকের দৃষ্টিকোণ থেকে রবীন্দ্রনাথের কবিতার বিশ্লেষণ করেছিলেন। তাঁর এই আলোচনা ‘The Working of the Unconscious Wish in the Creation of Poetry and Drama’ শিরোনামায় ফ্রয়েড সম্পাদিত ‘সাইকো অ্যানালিসিস’ পত্রিকায় মুদ্রিত হয়েছিল। ফ্রয়েডীয় মনোবিশ্লেষণ ধারার একজন প্ৰবক্তা হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেন। ‘ইন্ডিয়ান একাডেমী অব সাইকো অ্যানালিসিস’ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি ছিলেন। তিনি লিখেছেন কম, তবে তাঁর চিন্তাভাবনা বহু সুহৃদ সতীর্থদের প্রেরণার উৎস ছিল। বিহার ন্যাশনাল কলেজে নিঃস্বাৰ্থভাবে উদ্যোগী হয়ে বাংলা পড়োনর ব্যবস্থা করেন। পাটনার ‘রবীন্দ্ৰসভা’ তাঁর অপর কীর্তি। বৈষ্ণব সাহিত্যে পারদর্শী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে মৈথিলী শেখোনর ব্যবস্থা করার ব্যাপারে তিনি বিমানবিহারী মজুমদারকে সহায়তা করেছেন।
পূর্ববর্তী:
« রঙ্গলাল মুখোপাধ্যায়
« রঙ্গলাল মুখোপাধ্যায়
পরবর্তী:
রজত দত্ত »
রজত দত্ত »
Leave a Reply