যোগেশচন্দ্ৰ বাগল (২৭-৫-১৯০৩ – ৭-১-১৯৭২) কুমীরমারা—বরিশাল। জগবন্ধু। বরিশাল ও কলিকাতায় শিক্ষালাভ করে ১৯২৬ খ্রী. সিটি কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েট হন। ১৯২৯ খ্রী. রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় প্রতিষ্ঠিত ‘প্রবাসী’ ও ‘মিডার্ন রিভিউ’ পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগে যোগ দেন। এখানে সহকর্মী ছিলেন ব্ৰজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, সজনীকান্ত দাস, নীরদ চৌধুরী প্রমুখ গবেষক ও সাহিত্যিকবৃন্দ। র্তাদের প্রেরণায় তিনি গবেষণা কার্যে মনোনিবেশ করেন। ১৯৪০ খ্রী. তাঁর গবেষণামূলক গ্ৰন্থ ‘ভারতের মুক্তিসন্ধানী’ প্রকাশ হবার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি সুপরিচিত হন। ১৯৩৫ খ্রী. ‘দেশ’ পত্রিকায় যোগ দেন এবং এখানে আন্তর্জাতিক বিষয়ে লিখতেন। ১৯৪১ খ্রী. ‘প্রবাসীতে ফিরে যান এবং ১৯৬১ খ্ৰী. দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলার পূর্ব পর্যন্ত নিয়মিত কাজ করেছেন। অন্ধ অবস্থাতেও তাঁর গবেষণার বিরাম ছিল না। এই সময়ে ইন্ডিয়ান আর্ট কলেজের শতবার্ষিকী স্মারক গ্ৰন্থ সম্পাদনা, নিজের ‘হিন্দুমেলার ইতিবৃত্ত’ গ্রন্থ পরিমার্জনা এবং ভারতকোষ ও সাহিত্য সাধক চরিতমালার কাজ করেছেন। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সঙ্গে ১৯৩১ খ্রী. থেকে নানাভাবে যুক্ত ছিলেন। ইন্ডিয়ান হিস্টরিক্যাল রেকর্ডস কমিশন, রিজিওনযাল রেকর্ডস কমিশন (পশ্চিমবঙ্গ)-এর সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। তিনি সাহিত্য সংসদ কর্তৃক তিন খণ্ডে প্রকাশিত বঙ্কিম রচনাবলী এবং রমেশ রচনাবলীর সম্পাদনা করেছেন। বাংলা সাহিত্য বিষয়ে ও গবেষণায় তাঁর কাজের স্বীকৃতিতে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ তাকে ‘রামপ্রাণ গুপ্ত পুরস্কার’ দেন (১৯৫৬)। এছাড়া তিনি ‘সরোজিনী বোস স্মৃতি স্বর্ণপদক’ (১৯৬২) ও ‘শিশিরকুমার পুরস্কার’ (১৯৬৬) লাভ করেন। ১৯৫৮ খ্রী. বিদ্যাসাগর স্মৃতি বক্তৃতা এবং ১৯৬৮ খ্রী. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় স্মৃতি বক্তৃতা দেন। স্ত্রীশিক্ষা সম্বন্ধে তাঁর লেখা ‘women’s Education in Eastern India’ এবং ‘স্ত্রীশিক্ষার কথা’ বই দুখানি বিশেষ তথ্যবহুল। তাঁর রচিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩৫-এরও বেশি। রচিত গ্ৰন্থ: ‘সাহসীর জয়যাত্ৰা’, ‘মুক্তির সাধনে ভারত’, ‘ঊনবিংশ শতাব্দীর বাংলা’, ‘ভারতের স্বাধীনতা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ’, ‘Peasant Revolution of Bengal’ প্রভৃতি।
পূর্ববর্তী:
« যোগেশচন্দ্ৰ বসু, গল্পদাদা
« যোগেশচন্দ্ৰ বসু, গল্পদাদা
পরবর্তী:
যোগেশচন্দ্ৰ মুখোপাধ্যায় »
যোগেশচন্দ্ৰ মুখোপাধ্যায় »
Leave a Reply