যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ (১২-৭-১৮৪৫ – ১২-৬-১৯০৪)। শিমহাট-নদীয়া। উমেশচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৮৭২ খ্ৰী. এম.এ পাশ করে কিছুকাল স্কুলে শিক্ষকতা করেন। পরে ক্যাথিড্রাল মিশন কলেজের অধ্যাপক এবং ১৮৮০ খ্রী. ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট হন। পাশ্চাত্য রাজনৈতিক ইতিহাস ও দর্শনে গভীর জ্ঞান ছিল। সমাজ-সংস্কারে বিদ্যাসাগরের সহায়ক ছিলেন। প্ৰথমা পত্নীর মৃত্যুর পর তিনি পণ্ডিত মদনমোহন তর্কালঙ্কারের বিধবা কন্যাকে বিবাহ করেন এবং এজন্য আত্মীয়স্বজন দ্বারা উৎপীড়িত হয়েছিলেন। জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য হিন্দুমেলার নাম পরিবর্তন করে ‘ভারতমেলা’ করার প্রস্তাব করেন। তিনি জাতীয় ভাষায় প্রশ্নটিও ভেবেছিলেন। তাঁর মত ছিল-হিন্দী ভারতের রাষ্ট্রভাষা হওয়ার উপযুক্ত। এই মত খুব সম্ভবত ১৮৭৮ খ্রী. প্ৰকাশ করেন। বাংলা ভাষার প্রতি আন্তরিক আগ্ৰহ ছিল এবং প্ৰবন্ধদি বাংলাতেই লিখতেন। সেই সময় শিক্ষিতমহলে ইংরেজীতে লেখারই প্ৰচলন ছিল। ‘আৰ্যদর্শন’ পত্রিকার সম্পাদক এবং বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সহ-সভাপতি ছিলেন। গ্যারিবল্ডী, ম্যাটসিনি, জন স্টুয়ার্ট মিল, মদনমোহন তর্কালঙ্কার প্রভৃতির জীবনী রচনা করেন। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য অন্যান্য গ্ৰন্থ : ‘কীর্তিমন্দির’, ‘প্ৰাণোচ্ছ্বাস’, ‘আত্মোৎসৰ্গ, ‘সমালোচনমালা’ প্রভৃতি। বাঙ্গলায় গুপ্ত বিপ্লবী দল গঠনের সময়ে তাঁর রচিত প্ৰথম দুটি জীবনী গ্ৰন্থ সদস্যদের অবশ্য-পাঠ্য ছিল।
পূর্ববর্তী:
« যোগেন্দ্রনাথ দাস
« যোগেন্দ্রনাথ দাস
পরবর্তী:
যোগেন্দ্রনারায়ণ মিত্র »
যোগেন্দ্রনারায়ণ মিত্র »
Leave a Reply