যদুনাথ মজুমদার, রায়বাহাদুর (৭-৭-১২৬৬ ব. — ?)। লোহাগড়া-যশোহর। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে এম-এ পাশ করেন। কিছুদিন শিক্ষকতা করেন এবং যোগেন্দ্রনাথ শিরোমণির সঙ্গে ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া’ নামে একটি ইংরেজী সাপ্তাহিক সংবাদপত্ৰ প্ৰকাশ ও সম্পাদনা করতে থাকেন। এরপর ‘ট্রিবিউন’ পত্রিকার সম্পাদক হয়ে লাহোরে যান। সেখান থেকে নেপাল রাজদরবারে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদ নিয়ে নেপাল যান। কিন্তু নেপালের রাজনীতিক বিভ্রাটের জন্য নেপাল ছেড়ে তিনি কাশ্মীরের রাজস্ব বিভাগের সেক্রেটারীর চাকরি নেন। এই সময় প্রথম বিভাগে বি.এল. পাশ করে যশোহর জেলায় ওকালতী ব্যবসায়ে প্রবৃত্ত হন। যশোহরের সর্বপ্ৰধান উকিল ছিলেন। ১৮৮৯–৯০ খ্রী. যশোহরে নীলকর সাহেবদের অত্যাচার শুরু হলে তিনি নিপীড়িত নীলচাষীদের পূক্ষাবলম্বন করে মাগুরা ও ঝিনাইদহ মহকুমা থেকে নীলের চাষ বন্ধ করতে সমর্থ হন। তিনিই যশোহরে নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে ব্রাডলী সাহেব মারফত ইংল্যাণ্ডের পার্লামেন্টে নীলকর নির্যাতনের বিবরণ উত্থাপন করার ব্যবস্থা করেছিলেন। হিন্দুধর্ম ও হিন্দুশাস্ত্রালোচনার জন্য ‘হিন্দু পত্রিকা’ নামে একটি মাসিক পত্রিকা প্ৰকাশ করেন। ইংরেজী, বাংলা, সংস্কৃত, হিন্দী, উর্দু, গুর্খা, গুরুমুখী, ওড়িয়া প্রভৃতি ভাষায় অসাধারণ দখল ছিল। বন্ধু। অক্ষয়কুমার মিত্রের সঙ্গে একযোগে ‘সম্মিলনী ইনস্টিটিউশন’ নামে একটি এন্ট্রান্স স্কুল, যশোহরে ‘ব্রহ্মচারী আশ্রম’ এবং একটি মুদ্রাযন্ত্র ও বৃহৎ পুস্তকালয় প্ৰতিষ্ঠা করেন। যশোহর মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে ‘আমিত্বের প্রসার’ এবং ‘শ্রেয় ও প্রেয়’ উল্লেখযোগ্য। অপরদিকে তাঁর রচিত ‘শান্ডিল্য সুত্রের’ ইংরেজী টীকাগ্রন্থ পাশ্চাত্য পণ্ডিত-সমাজে সমাদর লাভ করে।
পূর্ববর্তী:
« যদুনাথ ভট্টাচাৰ্য বা যদুভট্ট
« যদুনাথ ভট্টাচাৰ্য বা যদুভট্ট
পরবর্তী:
যদুনাথ মুখোপাধ্যায়, ডাঃ »
যদুনাথ মুখোপাধ্যায়, ডাঃ »
Leave a Reply