মৃত্যুঞ্জয় বিরাট সেনগুপ্ত (১৫-৭-১৯০২ – ২১-১-১৯৭৫) হালিশহর—চব্বিশ পরগনা। কালীনাথ।। পিতার কর্মস্থল উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরে জন্ম। অল্পবয়সে মাতৃপিতৃহীন হন। বৈদ্যবাটীতে তাঁর বড়দির বাড়িতে থেকে ১৯২০ খ্রী. প্ৰবেশিকা পাশ করেন। নিজের পায়ে দাঁড়াবার চেষ্টায় নানাধরনের ছোটখাটো কাজ করেছেন। পরে গোরখপুর রেল দপ্তরে চাকরি পেয়ে সেখানেই আমৃত্যু কাটান। গৃহশিক্ষকতায় সুনামের জন্য গোরখপুরে ‘মাস্টারমশায়’ নামে পরিচিত ছিলেন। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই ছোটদের জন্য লেখা শুরু করেন। সেকালের ‘শিশু’, ‘সন্দেশ’, ‘মৌচাক’, ‘শিশুসাথী’, ‘খোকাখুকু’, ‘আমার দেশ’, ‘রামধনু’, ‘মুকুল’, ‘শুকতারা’ প্রভৃতি বিভিন্ন পত্রিকায় তাঁর অনেক সরস লেখা প্রকাশিত হয়েছে। বয়স্কদের জনয ‘যমুনা’, ‘বাঁশরী’, ‘শিশির’, ‘কল্লোল’ প্রভৃতিতে লিখেছেন। রচিত গ্ৰন্থ: ‘কৃষ্ণসখা’, ‘মানিকমালা’, ‘দেশের ছেলে’, ‘আমার ছোট বোনটি’, ‘ক্যাবলরামের কাহিনী’, ‘পারস্যের পোখরাজ’, ‘ছায়াপথ’, ‘আকাশ পাতাল’ ইত্যাদি। তাঁর লিখিত কবিতা ‘শ্ৰীরামকৃষ্ণ স্তুতি’ শ্বেতপাথরের ফলকে গোরখপুর রামকৃষ্ণ মিশনের মন্দিরগাত্রে লাগান আছে। সরকারী ‘হককথা’র প্রত্যুত্তরে ‘বাজে কথা’ রাতারাতি প্ৰকাশ করে সকলকে চমৎকৃত করেন।
পূর্ববর্তী:
« মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
« মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
পরবর্তী:
মৃন্ময়ী রায় »
মৃন্ময়ী রায় »
Leave a Reply