মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় (২৪-৪-১৮৯২ — ১১-১১-১৯৩০)। প্রেসিডেন্সী ম্যাজিষ্ট্রেট রাখালদাস। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ. ও আইন পাশ করে তিনি হাইকোর্টে আইন ব্যবসায়ে অল্পদিনেই সুপ্রতিষ্ঠিত হন। রাজনৈতিক মামলায় আসামী পক্ষের সমর্থনে মামলা পরিচালনার কৃতিত্ব তাঁর কর্মজীবনের প্ৰধান কীর্তি। ১৯২৪ খ্ৰী. দক্ষিণেশ্বর বোমা মামলার ও ১৯৩০ খ্রী. বিখ্যাত মেছুয়াবাজার বোমা মামলায় আসামীপক্ষের সওয়ালে অদ্ভুত দক্ষতার পরিচয় দেন। তাছাড়া ‘দেশবন্ধু পল্লীসংস্কার সমিতি’র প্রচারকর্মী সুবক্তা জ্ঞানাঞ্জন নিয়োগী বিভিন্ন সময়ে বক্তৃতাদান ও রচনাদি প্রকাশের জন্য রাজরোষে পতিত হলে এবং শরৎচন্দ্ৰ বসু ও সুভাষচন্দ্ৰ বসু পরিচালিত দৈনিক ‘ফরওয়ার্ড’, ‘নিউ ফরওয়ার্ড’ ও ‘লিবার্টি’ পত্রিকা সরকার-বিরোধী রচনা প্রকাশের জন্য অভিযুক্ত হলে আসামী পক্ষ সমর্থনে প্রতিবারই তিনি সরকার-বিরোধী ভূমিকা গ্ৰহণ করেন। মীরাট ষড়যন্ত্র মামলায় বিখ্যাত সরকারী ব্যারিস্টার স্যার ল্যাংফোর্ড জেমস তাকে প্রচুর অর্থের বিনিময়ে সরকারপক্ষে সহযোগিতা করার প্রস্তাব করলে তিনি তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন। অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক মামলায় অভিযুক্ত আসামীর বিপন্ন পরিবারবর্গকে তিনি অর্থসাহায্যও করতেন। হুগলী বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক দুৰ্গাদাস তাঁর অনুজ।
পূর্ববর্তী:
« মৃণালিনী সেন
« মৃণালিনী সেন
পরবর্তী:
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার »
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার »
Leave a Reply