মুজতবা আলী, সৈয়দ (১৩-৯-১৯০৪ -– ১১-২-১৯৭৪) করিমগঞ্জ-শ্ৰীহট্ট। সৈয়দ সিকান্দর আলী। প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও ভাষাবিদ। ১৯২১ খ্ৰী. মহাত্মা গান্ধীর ডাকে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়ে স্কুল ছেড়ে দেন। ১৯২১ – ২৬ খ্রী. শান্তিনিকেতনে অধ্যয়ন করেন। শিক্ষাশেষে তিনি কাবুলের শিক্ষাবিভাগে ফরাসী ও ইংরেজী ভাষার অধ্যাপক নিযুক্ত হন। ১৯২৮–৩০ খ্রী. জার্মানী থেকে হোমবোল্ড বৃত্তি পেয়ে বার্লিন ও বন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা শেষ করে পি-এইচ.ডি. উপাধি লাভ করেন। তারপর সমস্ত ইউরোপ এবং জেরুসালেম, দামাস্কাস প্রভৃতি বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ান। মাঝে এক বছর কায়রোতে অধ্যয়ন করেন। ১৯৩৬ খ্রী তিনি বরোদা রাজ্যে তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের অধ্যাপক পদে বৃত হন। ভারত-বিভাগের পর বগুড়া কলেজে অধ্যক্ষতা করেন। ১৯৫০ খ্রী. আকাশবাণীর কেন্দ্ৰ-পরিচালক-রূপে কাজ করেন। বিশ্বভারতীর ইসলামী সংস্কৃতির প্রধান অধ্যাপক ছিলেন। তিনি আরবী, ফারসী, হিন্দী, সংস্কৃত, উর্দু, মারাঠী, গুজরাটী, ইতালিয়ান, ফরাসী, জার্মান সহ ১৫টি ভাষা জানতেন। প্ৰবন্ধ, ভ্ৰমণকাহিনী, উপন্যাস ও রম্য-রচনায় সিদ্ধহস্ত ছিলেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্ৰন্থ: ‘দেশে বিদেশে’, ‘পঞ্চতন্ত্র’, ‘চাচাকাহিনী’, ‘ময়ূরাকতী’, ‘শবনম’, ‘ধূপছায়া’, ‘অবিশ্বাস্য’, ‘টুনিমেম’, ‘হিটলার’ প্রভৃতি। ১৯৪৯ খ্রী তিনি নরসিংহদাস পুরস্কার পান।
পূর্ববর্তী:
« মুক্তারাম বিদ্যাবাগীশ
« মুক্তারাম বিদ্যাবাগীশ
পরবর্তী:
মুজফফর আহমদ »
মুজফফর আহমদ »
Leave a Reply