মীর মশাররফ হোসেন (১৩-১১-১৮৪৭ — ১৯১২) লাহিনীপাড়া-কুষ্টিয়া। মীর মোয়াজম হোসেন। বংশমর্যাদা ও পরিচয়ের উপাধি ‘সৈয়দ’। যে সকল প্রগতিশীল লেখক সাহিত্যকে কৃষক-সংগ্রামের অন্ত্রে পরিণত করতে চেয়েছিলেন তিনি তাদের অন্যতম। তাঁর বিশেষ উল্লেখযোগ্য গ্ৰন্থ ‘বিষাদ সিন্ধু। তাঁর রচিত ‘জমিদার-দৰ্পণ’ নাটকটির বিষয়বস্তু ছিল ১৮৭২ – ৭৩ খ্ৰীষ্টাব্দের পাবনা জেলার সিরাজগঞ্জের কৃষক-বিদ্রোহ। এই নাটকের প্রচার বন্ধ করার চেষ্টায় বঙ্কিমচন্দ্রও ছিলেন, যদিও সাহিত্যিক হিসাবে তিনি অক্ষয়চন্দ্র মৈত্রেয়, অক্ষয়চন্দ্র সরকার ও বঙ্কিমচন্দ্র কর্তৃক উচ্চ প্ৰশংসিত হন। ফরিদপুর নবাব এস্টেটে এবং দেলদুয়ার এস্টেটে ম্যানেজারের চাকরি করেছেন। ঈশ্বর গুপ্তের ‘সংবাদ প্রভাকরে’ রচনা প্ৰকাশ করতেন এবং কুষ্টিয়ার সংবাদদাতা ছিলেন। তাঁর সাহিত্যগুরু ছিলেন কাঙাল হরিনাথ। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্ৰকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ২৫। তাঁর রচিত। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্ৰন্থ: ‘রত্নবতী’ (উপন্যাস) ‘গৌরী-সেতু’ (কবিতা), ‘বসন্তকুমারী’ (নাটক), ‘এর উপায় কি?’ (প্ৰহসন), ‘গো-জীবন’ (প্ৰবন্ধ), ‘বেহুলা গীতাভিনয়’, ‘উদাসীন পথিকের মনের কথা’ (নীলা-চাষীদের প্রতিক্রিয়া বিষয়ে রচিত), ‘গাজীমিয়াঁর বস্তানী’ প্রভৃতি। এছাড়াও মুসলমান ধর্ম ও জীবনের উপর বহু কবিতা, ‘আমার জীবনী’ নামে আত্মজীবনী এবং ‘আজীজন নেহার’ নামে একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করেন।
পূর্ববর্তী:
« মীর মশাররফ হোসেন
« মীর মশাররফ হোসেন
পরবর্তী:
মীর মুশায়েখ »
মীর মুশায়েখ »
Leave a Reply