মানকুমারী বসু (২৫-১-১৮৬৩ — ২৬-১২-১৯৪৩) সাগরদাঁড়ী–যশোহর। আনন্দমোহন দত্ত। ১৮৭৩ খ্রী. বিবুধশঙ্কর বসুর সঙ্গে বিবাহ হয় এবং ১৯ বছর বয়সে একটি কন্যা নিয়ে বিধবা হন। মাইকেল মধুসূদন সম্পর্কে তাঁর খুল্লতাত। বাঙলাদেশে সর্বজনবিদিত মহিলা কবিদের মধ্যে তিনি অন্যতম। তাঁর প্রসিদ্ধ কবিতাগুলি প্রধানত বিয়োগ-বেদন-সঞ্জাত। তিনি অন্তঃপুর শিক্ষার জন্য শিক্ষয়িত্রী, পল্লীগ্রামে স্ত্রীচিকিৎসক ও ধাত্রীর আবশ্যকতা বিষয়ে এবং সমাজের দুনীতি ও কুসংস্কার নিবারণের জন্য যেসব প্রবন্ধ রচনা করেন তার কয়েকটি বিশেষ আদৃত ও পুরস্কৃত হয়েছে। ‘বামবোধিনী’র লেখিকা-শ্রেণীভুক্ত ছিলেন। তিনি সাহিত্য-প্রতিভার জন্য ১৯১৯ খ্রী. থেকে আমৃত্যু ভারত সরকারের বৃত্তি পান। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ১৯৩৯ খ্ৰী. ‘ভুবনমোহিনী সুবর্ণপদক’ এবং ১৯৪১ খ্রী. ‘জগত্তারিণী সুবর্ণপদক’ দানে সম্মানিত করে। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্ৰন্থ : ‘প্রিয় প্রসঙ্গ’, ‘শুভ সাধনা’, কাব্যকুসুমানহলি’, ‘কনকাঞ্জলি’, ‘পুরাতন ছবি’, ‘বাঙ্গালী রমণীদের গৃহধর্ম’, ‘বিবাহিতা স্ত্রীলোকের কর্তব্য’, ‘বীরকুমারবধ কাব্য’ প্রভৃতি। ছোটগল্প রচনায়ও পারদর্শিনী ছিলেন। তাঁর রচিত ‘রাজলক্ষ্মী’, ‘অদৃষ্ট-চক্ৰ’, এবং ‘শোভা’ কুন্তলীন পুরস্কার পেয়েছে। ১৯৩৭ খ্রী চন্দননগরে অনুষ্ঠিত বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মেলনের ‘কাব্যসাহিত্য’ শাখার সভানেত্রী ছিলেন।
পূর্ববর্তী:
« মানকুমারী বসু
« মানকুমারী বসু
পরবর্তী:
মানকৃষ্ণ নামদাস »
মানকৃষ্ণ নামদাস »
Leave a Reply