মহেশচন্দ্ৰ ন্যায়রত্ন, মহামহোপাধ্যায় (২২-২-১৮৩৬ – ১৯০৬) নারীট-হাওড়া। হরিনারায়ণ তর্কসিদ্ধান্ত। শ্ৰীমদভাগবতের প্রসিদ্ধ টীকাকার শ্ৰীধর স্বামীর বংশধর। তিনি প্রথমে মেদিনীপুর জেলার রায়গঞ্জে প্ৰসিদ্ধ বৈয়াকরণ ঠাকুরদাস চূড়ামণির নিকট ব্যাকরণপাঠ সমাপ্ত করেন। তারপর বিভিন্ন অধ্যাপকের নিকট কাব্য, স্মৃতি, বেদান্ত ও অলঙ্কারশাস্ত্ৰ অধ্যয়ন করে কাশী যান। সেখানে, বেদ, উপনিষদ ও বেদান্তশাস্ত্ৰ পাঠ করেন। কলিকাতায় জয়নারায়ণ তর্কপঞ্চাননের নিকট নব্যন্যায় অধ্যয়ন শেষ করে ‘ন্যায়রত্ন’ উপাধি পান। ১৮৬৩ খ্রী. শোভাবাজারের মহারাজা কমলকৃষ্ণদেবের আনুকূল্যে চতুষ্পাঠী স্থাপন করে অধ্যাপনা করতে থাকেন। ১৮৬৪ খ্রী. সংস্কৃত কলেজের অলঙ্কারশাস্ত্রের অধ্যাপক নিযুক্ত হন ও নিজে ইংরেজী ভাষা শিক্ষা করেন। ১৮৭৬ খ্ৰী. উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ হন ও ১৮৯৫ খ্রী. অবসর গ্ৰহণ করেন। তিনিই সংস্কৃত আদ্য, মধ্য ও উপাধি পরীক্ষার প্রবর্তক। স্বগ্রামে তাঁরই প্ৰতিষ্ঠিত উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয় বর্তমানে ‘ন্যায়রত্ন ইনস্টিটিউশন’ নামে পরিচিত। মার্টিন কোম্পানীর হাওড়া-আমতা রেলপথ তাঁরই প্ৰচেষ্টায় নির্মিত হয়েছিল। তিনি ‘কাব্যপ্রকাশ’ গ্রন্থের টীকা এবং ‘ন্যায়কুসুমাঞ্জলির তাৎপর্যবিবরণ’ ও ‘বাক্যপ্রকাশের তাৎপৰ্যবিবরণ’ নামে টিপ্পানী গ্ৰন্থ রচনা করেন। এছাড়া এশিয়াটিক সোসাইটির আনুকূল্যে সায়ণভাষ্যসহ ‘তৈত্তিরীয় সংহিতা’র তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম খণ্ড এবং শবরাভাষ্যসহ ‘মীমাংসাদর্শন’ সম্পাদনা করেন। পঞ্জিকা-সংস্কার কার্যেও ব্ৰতী হয়েছিলেন। ১৮৮১ খ্রী সরকার কর্তৃক তিনি সিআইই, এবং ১৮৮৭ খ্রী. ‘মহামহোপাধ্যায়’ উপাধি দ্বারা সম্মানিত হন।
পূর্ববর্তী:
« মহেশচন্দ্ৰ চট্টোপাধ্যায়
« মহেশচন্দ্ৰ চট্টোপাধ্যায়
পরবর্তী:
মহেশচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায় »
মহেশচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায় »
Leave a Reply