মহেন্দ্ৰনাথ দত্ত (১৪-৮-১৮৬৮ – ১৪-১০-১৯৫৬) কলিকাতা। বিশ্বনাথ। স্বামী বিবেকানন্দের অনুজ। ১৮৯৬ খ্রী.আইনশিক্ষার উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ডে যান। কিন্তু শ্ৰীরামকৃষ্ণদেব ও অগ্রজের অনুপ্রেরণায় উদ্ধৃদ্ধ হয়ে আইনশিক্ষা ছেড়ে ইতিহাস, দর্শন ও বিবিধ জ্ঞান-বিজ্ঞান অধ্যয়ন আরম্ভ করেন। দেশ-বিদেশের বহু স্থান পদব্ৰজে পরিভ্রমণ করেন ও ১৯০২ খ্রী. কলিকাতায় ফিরে আসেন। তাঁর লিখিত বিভিন্ন গ্রন্থে, বিশেষত মহেন্দ্ৰ পাবলিশিং কমিটি কর্তৃক প্রকাশিত ‘ন্যাশনাল ওয়েলথ’, ‘ফেডারেটেড এশিয়া’, ‘প্ৰাচীন ভারতের সংশ্লিষ্ট কাহিনী’ প্রভৃতি পুস্তকে প্রক্ষিপ্ত আভাসে তাঁর পরিক্রমার বিবরণী পাওয়া যায়। তাঁর অনুগামীদের পুলিসী জুলুমের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তাঁর লেখা বহু পাণ্ডুলিপি তিনি নষ্ট করেও ফেলেছেন। দর্শন, ইতিহাস, কাব্য, ধর্ম, স্থাপত্য, শিল্প, সমাজদর্শন, জীববিদ্যা এবং বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত তাপ, আলোক, শব্দ, স্পন্দন ও মহাজাগতিক ক্রমবিবর্তন বিষয়ে গবেষণামূলক প্রায় ৯০খানি পুস্তকের তিনি রচয়িতা। রচিত উল্লেখযোগ্য গ্ৰন্থ: ‘শ্ৰীমৎ বিবেকানন্দ স্বামীজীর জীবনের ঘটনাবলী’ (৩ খণ্ড), ‘লন্ডনে স্বামী বিবেকানন্দ’ (৩ খণ্ড), ‘শ্ৰীশ্ৰীরামকৃষ্ণের অনুধ্যান’, ‘গিরিশচন্দ্রের মন ও শিল্পী’, ‘পশুজাতির মনোবৃত্তি’, ‘পাশুপত অস্ত্ৰলাভ’ (কাব্য), ‘শিল্প প্রসঙ্গ’, ‘নত্যৃকলা’, ‘প্রাচীন জাতির দেবতা ও বাহনবাদ’, ‘ডিসারটেশন অন পেন্টিং’, ‘প্রিন্সিপলস অফ আর্কিটেকচার’, ‘মাইন্ড’, ‘রাইটস অফ ম্যানকাইন্ড’ প্রভৃতি। রামকৃষ্ণ মিশনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংযোগ ছিল। গৈরিক বস্ত্র ধারণ না করলেও তিনি সন্ন্যাসজীবন যাপন করতেন।
পূর্ববর্তী:
« মহেন্দ্ৰনাথ গুপ্ত, ‘শ্ৰীম’
« মহেন্দ্ৰনাথ গুপ্ত, ‘শ্ৰীম’
পরবর্তী:
মহেন্দ্ৰনাথ দাশ মজুমদার »
মহেন্দ্ৰনাথ দাশ মজুমদার »
Leave a Reply