মহেন্দ্ৰনাথ গুপ্ত, ‘শ্ৰীম’ (১৪-৭-১৮৫৪ — ৪-৬-১৯৩২) কলিকাতা। মধুসূদন। তাঁর মহৎ কীর্তি ‘শ্ৰীশ্ৰী রামকৃষ্ণ কথামৃত’ রচনা। ১৮৮২–৮৬ খ্রী. শ্ৰীরামকৃষ্ণদেবের জীবনের শেষ চার বছরে পঞ্চাশটির মত দেখা সাক্ষাতের নিপুণ বিবরণ তিনি পরম নিষ্ঠায় তাঁর ডায়রীতে লিখে রেখেছিলেন-যা পরে পুস্তকাকারে প্ৰকাশিত হয়ে মহৎ জীবনী সাহিত্যের খ্যাতি লাভ করে। এই গ্রন্থের মাধ্যমে তিনি সংসারে থেকেও শ্ৰীরামকৃষ্ণের বাণী প্রচার করে গেছেন। হেয়ার স্কুল এবং প্রেসিডেন্সী কলেজের ছাত্র ছিলেন। এস্ট্রান্স পরীক্ষায় ২য়, এফ, এ, পরীক্ষায় ৫ম ও বি.এ. পরীক্ষায় ৩য় স্থান লাভ করেছিলেন। যশোহরে নড়াইল স্কুলে, কলিকাতার সিটি, রিপণ, মেট্রোপলিটন, এরিয়ান, ওরিয়েন্টাল সেমিনারি, মডেল, প্ৰভৃতি স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন। রিপণ, সিটি ও মেট্রোপলিটন কলেজে ইংরেজী, অর্থনীতি, মনোবিজ্ঞান ও ইতিহাস পড়াতেন। শ্ৰীরামকৃষ্ণদেবের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি বিদ্যাসাগরের শ্যামপুকুর ব্রাঞ্চ স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। জীবনের শেষ ৫ বছর ঝামাপুকুর মর্টন ইন্সটিটিউশন (বর্তমানে আমহার্স্টষ্ট্রটস্থ ‘হিন্দু অ্যাকাডেমী) কিনে তাঁর অধিকারী-অধ্যক্ষ ও পরিচালক হন। তিনি ‘মাস্টার মশায়’ নামে সমধিক পরিচিত ছিলেন। শ্ৰীরামকৃষ্ণদেবের সন্ন্যাসী শিষ্যদের কেউ কেউ। তাঁর শিষ্য এবং তাঁর ছাত্ররা অনেকে পরে রামকৃষ্ণ সঙ্ঘের সন্ন্যাসী হয়েছিলেন। অনেকে তাকে তাই ‘ছেলে ধরা মাস্টার’ আখ্যা দিয়েছিলেন।
পূর্ববর্তী:
« মহেন্দ্ৰচন্দ্ৰ ভট্টাচাৰ্য, কাব্যতীর্থ, সাংখ্যার্ণব
« মহেন্দ্ৰচন্দ্ৰ ভট্টাচাৰ্য, কাব্যতীর্থ, সাংখ্যার্ণব
পরবর্তী:
মহেন্দ্ৰনাথ দত্ত »
মহেন্দ্ৰনাথ দত্ত »
Leave a Reply