মহিমচন্দ্ৰ দাস (ফেব্ৰু ১৮৭১ — ৩-৪-১৯৪০) ভাটিখাইন-চট্টগ্রাম। যাত্রামোহন। অবিভক্ত বাঙলার জনপ্ৰিয় নেতা। চট্টগ্রামের পটিয়া উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয় থেকে ‘রায় বাহাদুর বৃত্তি’ সহ ১৮৯০ খ্রী. এন্ট্রান্স, চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এফ.এ. ও কলিকাতার সিটি কলেজ থেকে ১৮৯৪ খ্ৰী. বি.এ. পাশ করে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৮৯৭ খ্রী. আইন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চট্টগ্রাম জেলা আদালতে আইনজীবী হিসাবে যোগ দেন। ১৯০৫ খ্রী. বঙ্গভঙ্গ-প্রতিবাদ আন্দোলনে বিশিষ্ট ভূমিকা গ্ৰহণ করেন। ১৯১১ খ্রী. সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘পাঞ্চজন্য’ প্রকাশে ব্ৰতী হন। বিদেশী সরকারের বিরূপ মনোভাবের জন্য পত্রিকাটিকে বন্ধ করে দিতে হয়। ১৯২১ খ্রী. বন্ধু কালীশঙ্কর চক্রাবতীর সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘জ্যোতিঃ’ দৈনিকে রূপান্তরিত হলে তিনি তাঁর সম্পাদনার ভার নেন। এই পত্রিকাটি কলিকাতার বাইরে মফস্বল থেকে প্ৰকাশিত প্ৰথম দৈনিক। সরকারী রোষে ১৯২৯ খ্রী. পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে গেলে অনুজ অম্বিকাচরণের সহায়তায় ‘দৈনিক পাঞ্চজন্য’ প্ৰকাশ করেন। ১৯২১ খ্রী. অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়ে আইন ব্যবসা ত্যাগ করেন। ঐ বছর এপ্রিল মাসে বার্মা অয়েল কোম্পানীর শ্রমিক ধর্মঘট ও তাঁর সমর্থনে সর্বাত্মক হরতাল এবং আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ের প্রায় ১৫ হাজার শ্রমিক-কর্মচারীর দীর্ঘ তিনমাসব্যাপী ধর্মঘট আন্দোলনে অন্যান্য অনেকের সঙ্গে তিনি সক্রিয় অংশ গ্ৰহণ করেছিলেন। ১৯৩০ খ্রী. চট্টগ্রাম লবণ সত্যাগ্ৰহ পরিচালনা করে কারারুদ্ধ হন। চট্টগ্রাম জেলা কংগ্রেসের প্ৰথমে সম্পাদক ও পরে সভাপতি ছিলেন। ১৯৩৭ খ্রী. কংগ্রেস-প্রার্থীরূপে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হন। চট্টগ্রামের প্রায় সকল ধর্ম, সাহিত্য ও সংস্কৃতিমূলক সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন।
পূর্ববর্তী:
« মহিমচন্দ্ৰ দাশগুপ্ত
« মহিমচন্দ্ৰ দাশগুপ্ত
পরবর্তী:
মহির উদ্দীন »
মহির উদ্দীন »
Leave a Reply