মণীন্দ্রনাথ সেন (১৯-১১-১৮৯১ – ১১-১-১৯৮১) পিতার চাকরির সূত্রে বিভিন্ন স্থানে ঘুরেছেন। শিক্ষা শুরু কানপুরের পাঠশালায়। ১৯০৮ খ্ৰী. বিহারের আরা স্কুল থেকে এস্ট্রান্স পাশ করে কলিকাতার বৌবাজারে বেঙ্গল ন্যাশনাল কলেজে ভর্তি হন। সেখানে কাজ করতে গিয়ে এক দুর্ঘটনার ফলে পড়া বন্ধ হয়ে যায়। অল্প বয়স থেকেই ছবি আঁকায় পারদর্শী ছিলেন। ১৯১১ খ্রী. আমহার্স্ট স্ট্রীটের জুবিলী আর্ট অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হন। সেখানে তাঁর সতীর্থ ছিলেন হেমেন মজুমদার, অতুল বসু, রণদা গুপ্ত, বসন্ত গাঙ্গুলী, ধীরেন গাঙ্গুলী প্রভৃতি। ছাত্রাবস্থাতেই তাঁর আঁকা ছবি বিক্রি হয়েছে। ফটোগ্রাফিতেও তালিম নেন। কর্মজীবন শুরু দাৰ্জিলিং-এ অস্ট্রিয় ফটোগ্রাফার থমাস পারের প্রতিষ্ঠানে। পরে সেখানে নিজস্ব স্টুডিও খোলেন। তদানীন্তন বড়লাট লর্ড লিটন তাঁর কাজে উৎসাহ দিয়েছেন। সে সময় বড়লাটের সঙ্গে তাঁর প্রথম হিমালয় ভ্ৰমণ। ছবি আঁকা, ফটো তোলার সঙ্গে সঙ্গে হিমালয়ের গাছপালা, পশুপাখি, নৃতত্ত্ব, ভূতত্ত্ব ইত্যাদি বিষয়ের অনুসন্ধানের কাজও সমান তালে করে চলেন। তাঁর আঁকা ছবিতে হিমালয়ের বিভিন্ন রূপ ফুটে উঠেছে। যুদ্ধোত্তর যুগে ভাল তেল রঙের অভাব মেটাতে তিনি তাঁর ছবিতে ব্যবহার করেছেন নুড়ি পাথর, বালি, শুকনো ডালপাতা ইত্যাদি। তাঁর sain Art Galleryr দার্জিলিং-এর একটি দ্রষ্টব্য স্থান। বিভিন্ন দেশের বহু শিল্প রসিকদের কাছে, আর্ট গ্যালারিতে তাঁর শিল্পকর্ম সংগৃহীত আছে। দাৰ্জিলিং মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের তিনিই প্ৰথম কিউরেটর। তাছাড়া ওখানের মিউজিয়ম, চিড়িয়াখানা, হারবেরিয়া ইত্যাদির সঙ্গেও নানাভাবে যুক্ত ছিলেন। রচিত গ্রন্থ: ‘Rhododendron of Darjeeling and Sikkim Himalayas’। বেঙ্গল ন্যাচারাল হিষ্ট্রি সোসাইটির জার্নালেও রডোডেনড্রন বিষয়ে তাঁর প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
পূর্ববর্তী:
« মণীন্দ্রনাথ শেঠ
« মণীন্দ্রনাথ শেঠ
পরবর্তী:
মণীন্দ্রনারায়ণ রায় »
মণীন্দ্রনারায়ণ রায় »
Leave a Reply