মঞ্জু গুপ্ত (১১-৯-১৯২৬ — জুন ১৯৭৯)। পিতা সুধাংশুমোহন গুপ্তর কর্মস্থল পটনায় জন্ম। শিশুকালেই তাঁর সঙ্গীত-প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায়। খুব ছোটবেলায় গ্রামোফোন রেকর্ড থেকে ছোট ঠাকুরমা অমলা দাশ, আঙুরবালা, বেদানা দাসী, ইন্দুবালা, আশ্চর্যময়ী দাসী, বিনোদিনী দাসী, কে, মল্লিক, বড়াল প্রভৃতি নামকরা গায়ক-গায়িকার গান শুনে-শুনে শিখেছিলেন। চার-পাঁচ থেকে সতের বছর বয়স পর্যন্ত রবীন্দ্রসঙ্গীতের শিক্ষা পারিবারিক বন্ধু দেবব্রত বিশ্বাসের কাছে। পরে শেখেন নিজের ছোট পিসীমা পণ্ডিচেরী নিবাসিনী সাহানা দেবীর কাছে। ১৯৪১–৪৩ খ্রী. মহম্মদ শফী খাঁ-র কাছে ক্লাসিক্যাল হিন্দুস্থানী সঙ্গীতের তালিম নেন। পরে কলিকাতায় বাসকালে জ্ঞানপ্ৰকাশ ঘোষের কাছে হিন্দুস্তানী মাৰ্গ সঙ্গীত শেখেন। ১৯৪৩ খ্রী. পাটনা থেকে ম্যাট্রিক পাশ করে এক রছর পিতারকর্মস্থল মাদ্রাজে থাকার সময় পণ্ডিচেরী আশ্রমে গিয়ে সাহানা দেবী ও দিলীপকুমার রায়ের কাছে গান শিখবার সুযোগ পান। তাঁর কণ্ঠে দিলীপকুমার রায়ের ‘তব চির চরণে’ গানটি ১৯৪৪ খ্রী. এইচ.এম.ভি. কোম্পানীতে রেকর্ড করান হয়। এটিই তাঁর প্রথম রেকর্ড। ১৯৪৫ খ্রী. লক্ষ্ণৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অসিতকুমার গুপ্তের সঙ্গে বিবাহ হয়। তিনি অতুলপ্ৰসাদের গান শেখেন সুবালা আচাৰ্য (অতুলপ্ৰসাদের ছোট মাসী), ধীরন্দ্রেমোহন গুপ্ত ও রেণুকা দাশগুপ্তের কাছে। ঐরা সকলেই তাঁর আত্মীয়। ১৯৪৬–৪৮ খ্রী. লক্ষ্ণৌ বেতারকেন্দ্রের নিয়মিত শিল্পী ছিলেন। ১৯৪৮ খ্রী. থেকে কলিকাতার স্থায়ী বাসিন্দা হলে কলিকাতা বেতারকেন্দ্ৰেও গান পরিবেশন করেন। তাঁর ছাত্ৰ-ছাত্রীদের তিনি অতুলপ্রসাদী, দ্বিজেন্দ্রগীতি এবং দিলীপ রায়, নিশিকান্ত রায়চৌধুরী, অরুণা দেবী ও সাহানা দেবী (দুই পিসী), নিরুপমা দেবী প্রভৃতির রচিত গান শেখাতেন। ১৯৭১ খ্রী. অতুলপ্ৰসাদের জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠান উপলক্ষে তাঁর গাওয়া অতুলগীতি স্মরণীয়।
পূর্ববর্তী:
« মজযুবা বিবি
« মজযুবা বিবি
পরবর্তী:
মঞ্জুষ দাশগুপ্ত »
মঞ্জুষ দাশগুপ্ত »
Leave a Reply