ভোলানাথ চট্টোপাধ্যায় (১৮৯৪? – ২৮-১-১৯১৬) টেগরা-তারকেশ্বর-হুগলী। অনুশীলন সমিতির সভ্য ছিলেন। চৌদ্দ বছর বয়সে দলনেতার নির্দেশে পেনাং যান। সেখানে গিয়ে চাষী-মজুরদের মধ্যে কাজ করার জন্য তাদের সঙ্গে মিশে কারখানায় মিস্ত্রীর কাজে যোগ দেন। অল্প কিছু টাকা নিজে রেখে বাকি টাকা পার্টিতে জমা দিতেন। পেনাং ও শ্যামের বিভিন্ন অঞ্চলে অক্লান্ত চেষ্টায় কর্মকেন্দ্র গড়ে তুলেছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে তিনি নভেম্বর ১৯১৪ খ্ৰী. কলিকাতায় আসেন এবং ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ভারতে সশস্ত্র বিপ্লব-আন্দোলনের প্রস্তুতির জন্য জার্মানীর সঙ্গে যোগাযোগ-রক্ষার ও ভারতে মালপত্র প্রেরণের কাজে যুক্ত হন। ১৯১৫ খ্রী. বাঘা যতীনের আদেশে মাটিনের (মানবেন্দ্রনাথ) খবর নিতে পর্তুগীজ অধিকৃত গোয়ায় যান (১৭-১২-১৯১৫) এবং সেখানে গিয়ে মাটিনকে টেলিগ্রাম করেন। গোয়ায় তাঁর সঙ্গে বিপ্লবী বিনয়ভূষণ দত্তও গিয়েছিলেন। এই সময় ব্রিটিশ গোয়েন্দার নির্দেশে পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে। ১৮১৮ খ্ৰীষ্টাব্দের ৩ আইন অনুসারে তাকে পুনা জেলে আটক রাখা হয়। বিপ্লবী পরিকল্পনার খবর আদায়ের জন্য পুলিস তাঁর উপর অমানুষিক অত্যাচার চালায়। ফলে তিনি জেলেই মারা যান।
পূর্ববর্তী:
« ভোলা ময়রা
« ভোলা ময়রা
পরবর্তী:
ভোলানাথ চন্দ্র »
ভোলানাথ চন্দ্র »
Leave a Reply