ভূপেন্দ্রনাথ মিত্র, কর্নেল (১৯০৫ – ৬-১-১৯৮০) বিক্রমপুর-ঢাকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিএস-সি। নানা খেলাধুলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব করেন। কর্মজীবন শুরু দেরাদুনের ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটে। কলিকাতায় ইন্ডিয়ান রিসার্চ ফান্ড অ্যাসোসিয়েশনে কর্মরত থাকাকালে কলেরা জীবাণুর শ্রেণিবিভাগ বিষয়ে ও প্রোটিন রসায়ন-ক্ষেত্রে বিশেষ উল্লেখযোগ্য কাজ করেন। ১৯৩৭ খ্রী. রকফেলার স্কলারশিপ নিয়ে আমেরিকার মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। সেখানে ‘সিগমা একাদশ’ নামে বিখ্যাত বিজ্ঞান সংস্থার সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। দেশে ফেরার পথে ব্রিটেনের রথামস্টেড এক্সপেরিমেন্টাল স্টেশন সংস্থায় কিছুদিন কাজ করার সময়ে মাটির নমুনা দ্রুত বিশ্লেষণের সহজ পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। ১৯৪০ খ্রী. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে ভারতীয় সৈন্যবিভাগে নিযুক্ত হন। ডিরেক্টর অব আর্মামেন্টের অধীনে তিনিই প্ৰথম ভারতীয়, এবং বিভিন্ন দায়িত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। যুদ্ধাস্ত্ৰ প্ৰযুক্তি বিদ্যার ক্ষেত্রেও অনেক নূতন জিনিস উদ্ভাবনের কৃতিত্ব অর্জন করেন। বালেশ্বরে পুফ অ্যান্ড এক্সপেরিমেন্টাল বিভাগের প্রধান ও উড়িষ্যার সামরিক বাহিনীর ভারপ্রাপ্ত অফিসার হিসাবে উড়িষ্যার দেশীয় রাজ্য নীলগিরির ভারতভুক্তিতে বল্লভভাই প্যাটেলকে যথেষ্ট সাহায্য করেছিলেন। ১৯৪৭ খ্রী. সেনাবিভাগ থেকে মুক্ত হয়ে দিল্লীতে কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাষ্টিয়াল রিসার্চ-এর সহকারী ডিরেক্টর পদে নিযুক্ত হন। জোড়হাট রিজিওন্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরির প্রতিষ্ঠাতা ডিরেক্টর ছিলেন। পরবর্তী কালে লক্ষ্ণৌতে সেন্ট্রাল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল প্ল্যান্ট অরগানাইজেশন-এর ডিরেক্টর হন। সিএসআইআর থেকে অবসর গ্রহণের পর ১৯৬৫ খ্রী. থেকে ১৯৭০ খ্রী. কলিকাতায় অবস্থিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব এক্সপেরিমেন্টাল মেডিসিন সংস্থায় ক্যানসার বিষয়ে উল্লেখযোগ্য গবেষণা করেন। বিভিন্ন বিষয়ে বহু গবেষণামূলক প্ৰবন্ধাদি লিখেছেন এবং কয়েকটি আন্তর্জাতিক কংগ্ৰেসে আমন্ত্রিত হয়ে যোগদান করেছেন।
পূর্ববর্তী:
« ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত
« ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত
পরবর্তী:
ভূপেন্দ্রনাথ মিত্র, স্যার »
ভূপেন্দ্রনাথ মিত্র, স্যার »
Leave a Reply