ভূপেন্দ্ৰনাথ বসু (১৮৫৯ – ১৬-৯-১৯২৪) কলিকাতা। রামরতন। পৈতৃক নিবাস-খানাকুল-কৃষ্ণনগর। ১৮৭৫ খ্ৰী. কৃষ্ণনগর স্কুল থেকে প্ৰবেশিকা, ১৮৮০ খ্রী. প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে বি-এ, এবং ১৮৮১ খ্রী. ইংরেজী সাহিত্যে অনার্সসহ এম.এ. পাশ করেন। ১৮৮৩ খ্রী. অ্যাটর্নি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আইন ব্যবসায়ে অসামান্য সাফল্য অর্জন করেন। রাজনৈতিক জীবনে স্যার সুরেন্দ্রনাথের অনুগামী ছিলেন। কলিকাতা কর্পোরেশনের কমিশনার ও সভাপতি হয়েছিলেন। ১৮৯৮ খ্রী. সরকারের কাজে বিরক্ত হয়ে অপর ২৬ জনের সঙ্গে সুরেন্দ্রনাথের নেতৃত্বে কর্পোরেশন ত্যাগ করেন। এই সময়ে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন। ১৯০৫ খ্রী. ময়মনসিংহ প্ৰাদেশিক সম্মেলনের সভাপতি হন। ১৯০৬ খ্রী. বরিশালে বাঙলা প্ৰাদেশিক সম্মেলনে লর্ড কার্জনের বঙ্গভঙ্গ-নীতির প্রবল বিরোধিতা করেন। ১৯১১ খ্রী. কংগ্রেসের কলিকাতা অধিবেশনের অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি এবং ১৯১৪ খ্ৰী. কংগ্রেসের মাদ্রাজ অধিবেশনের সভাপতি এবং তিনবার বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য হন। ১৯১৫ খ্ৰী. ভারতীয় ব্যবস্থা-পরিষদে যোগদান করেন। ১৯১৭ খ্রী. ভারত-সচিবের বেসরকারী পরামর্শদাতারূপে বিলাত যান এবং কিছুকাল সহকারী ভারত-সচিবের কাজ করেন। এই সময়ে মন্টেগু সাহেবের শাসন-সংস্কার আইন প্রণয়নে বিশেষ সহায়তা করেছিলেন। ১৯২২ খ্রী. ভারত সরকারের প্রতিনিধিরূপে জেনেভা কনফারেন্সে যোগ দেন এবং পরের বছর রয়্যাল কমিশনের সদস্য হন। এই কাজের শেষে বাঙলা সরকারের শাসন-পরিষদের সদস্য এবং জীবনের শেষ বছর স্যার আশুতোষের মৃত্যুর পর (১৯২৪) কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর হয়েছিলেন। তিনি বঙ্গলক্ষ্মী কটন মিলস, বেঙ্গল হোসিয়ারী কোম্পানী, বেঙ্গল পটারী ওয়ার্কস প্রভৃতি দেশীয় সংস্থা ও সমাজহিতকর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ব্রিটিশ সরকার তাকে নাইট উপাধি প্ৰদান করে।
পূর্ববর্তী:
« ভূপেন্দ্ৰনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
« ভূপেন্দ্ৰনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
পরবর্তী:
ভূপেশ গুপ্ত »
ভূপেশ গুপ্ত »
Leave a Reply