ব্রজেন্দ্রনাথ শীল (৩-৯-১৮৬৪ – ৩-১২-১৯৩৮) হরিপাল-হুগলী। কলিকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী মহেন্দ্রনাথ। অল্পবয়সে মাতৃ-পিতৃহারা হয়ে মাতুল রাধারমণ নানের আশ্রয়ে পালিত হন। খ্যাতনামা দার্শনিক ও আচাৰ্য। জেনারেল অ্যাসেমব্লিজ ইনস্টিটিউশন থেকে বি.এ. পাশ করে (১৮৮১) ঐ কলেজেই অধ্যাপনা শুরু করেন। ১৮৮৪ খ্রী. কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেন্টাল অ্যান্ড মরাল ফিলসফিতে এম.এ. পাশ করেন। কলেজে স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর সহপাঠী ছিলেন। বিভিন্ন কলেজে অধ্যাপনা করার পর ১৯১২ খ্রী. থেকে ১৯২১ খ্রী. কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনশাস্ত্রের প্রধান অধ্যাপকের পদে নিযুক্ত ছিলেন। ১৯২১ থেকে ১৯৩০ খ্ৰী. মহীশূর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচাৰ্যরূপে কাজ করেন। প্রাচীন ও আধুনিক ১০ টি ইউরোপীয় ও ভারতীয় ভাষায় তাঁর বুৎপত্তি ছিল। আধুনিককালের সবচেয়ে নাম-করা পণ্ডিত বলে তিনি গণ্য। তুলনামূলক সাহিত্য ও ধর্মদর্শন-বিচারে এবং দর্শন আলোচনায় গণিতের সূত্র প্রয়োগে ভারতে তিনিই পথিকৃৎ। তিনি পি-এইচডি, ডি.এসসি, ও নাইট (Knight) এবং মহীশূরের রাজরত্নপ্রবীণ উপাধি-ভূষিত ছিলেন। ইউরোপের নানা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে তিনি ইউরোপ ভ্ৰমণ করেন এবং বক্তৃতা দেন। ১৯১১ খ্রী. লন্ডনে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জাতি কংগ্রেসে তাঁর প্রদত্ত বক্তৃতা বিশেষ উল্লেখযোগ্য। ১৯২১ খ্রী. রবীন্দ্রনাথের আমন্ত্রণে তিনি বিশ্বভারতীর উদ্বোধন-অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন। আদর্শ চরিত্রের জন্য দেশবাসী তাকে ‘আচাৰ্য’ বলে সম্বোধন করত। জ্ঞানের জন্য ‘চলমান বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে তাঁর খ্যাতি ছিল। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাবলী: ‘A Memoir of the Co-efficient of Numbers-A Chapter on the Theory of Numbers’ (1891), ‘Neo-Romantic Movement in Bengali Literature 1890-91’, ‘A Comparative Study of Christianity and Vaisnavism’ (1899), ‘New Essays in Criticism’ (1903), ‘introduction to Hindu Chemistry’, ‘Positive Sciences of the Ancient Hindus’ (1915) ‘Race-Origin’, ‘Syllabus of Indian Philosophy’ (1924)’, ‘Rammohan, the Universal Man’ (1933), The Quest Eternal’ (1936) ইত্যাদি।
পূর্ববর্তী:
« ব্রজসুন্দর মিত্র
« ব্রজসুন্দর মিত্র
পরবর্তী:
ব্রজেন্দ্রলাল মিত্র, স্যার »
ব্রজেন্দ্রলাল মিত্র, স্যার »
Leave a Reply