ব্ৰজেন্দ্ৰকিশোর রায়চৌধুরী, আচাৰ্য (৬-১-১২৮১ – ২০-৭-১৩৬৪ ব) বালিহার-রাজশাহী। হরিপ্রসাদ ভাদুড়ী (ভট্টাচাৰ্য)। গৌরীপুর—ময়মনসিংহের জমিদার-পত্নী বিশ্বেশ্বর দেবী তাকে দত্তক নেন। তিনি দানবীর, দেশভক্ত, শিল্পী, সাহিত্যিক ও সঙ্গীতানুরাগী ছিলেন। বাঙলার অগ্নিযুগে জাতীয় শিক্ষা-পরিষদ সংগঠনে ৫ লক্ষ টাকা দান করেছিলেন। বারাণসী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়েও লক্ষাধিক টাকা দান করেন। এছাড়া বিপ্লবী যুগান্তর দল, বঙ্গীয় ব্ৰাহ্মণসভা এবং বহু চিকিৎসালয়, বিদ্যালয় ও সংস্কৃত পণ্ডিতদের সাহায্যার্থে প্রচুর দান করেছিলেন। তাঁর মোট দানের পরিমাণ ৩৫ লক্ষ টাকা। সমবায়-সংগঠন, পোত-নির্মাণ ও বহুবিধ ব্যবসায়ের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ ছিল। বাঙলার নেতৃস্থানীয় বিপ্লবীদের সঙ্গে তিনি ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। গৌরীপুরে তাঁর বাড়িতে বিপ্লবী নেতাদের সমাবেশ হত। নিজের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হবার ঝুঁকি নিয়েও তিনি একবার সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দাখিল করে হাইকোর্ট পর্যন্ত জিতেছিলেন। তিনি ক্রীড়াজগতে টাউন ক্লাবের অন্যতম স্থাপনকর্তা ও বেঙ্গল জিমখানার অন্যতম স্তম্ভম্বরূপ, হিন্দুস্তান ইনসিওরেন্সের একজন প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম কোষাধ্যক্ষ এবং ভারত-সঙ্গীত সমাজের অন্যতম বিশিষ্ট সদস্য ও নাট্যশিল্পী ছিলেন। মৃদঙ্গাচাৰ্য মুরারি গুপ্তের শিষ্যরূপে পাখোয়াজ-বাদনে দক্ষতা অর্জন করেন। ইংরেজ সরকারের ‘রাজা’ উপাধি দানের প্রস্তাব তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। বিশিষ্ট যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পী বীরেন্দ্ৰকিশোর তাঁর পুত্ৰ।
পূর্ববর্তী:
« ব্ৰজেন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী
« ব্ৰজেন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী
পরবর্তী:
ব্ৰজেন্দ্ৰকুমার সরকার »
ব্ৰজেন্দ্ৰকুমার সরকার »
Leave a Reply