বেণীমাধব বড়ুয়া (৩১-১২-১৮৮৮ – ২৩-৩-১৯৪৮) মহামুনি পাহাড়তলী—চট্টগ্রাম। রাজচন্দ্ৰ তালুকদার। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল ও চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র ছিলেন। ১৯১৩ খ্রী. কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পালিভাষায় প্রথম শ্রেণীতে প্ৰথম হয়ে এম.এ. পাশ করেন। ১৯১৭ খ্রী. লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি,লিট উপাধি পান। ১৯১৮ খ্রী. কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিভাষার অধ্যাপক নিযুক্ত হন এবং ১৯২৪–৪৮ খ্রী. পর্যন্ত ঐ বিভাগের প্রধান অধ্যাপকের পদে বৃত ছিলেন। পালি, প্রাকৃত ও সংস্কৃতে এবং বৌদ্ধদৰ্শনসহ ভারতীয় দর্শন, প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস প্রভৃতি বিবিধ বিষয়ে তাঁর অগাধ পণ্ডিত্য ছিল। প্ৰাচীন শিলালিপির পাঠোদ্ধার ও ব্যাখ্যায় তিনি নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। ১৯৪৪ খ্রী. সিংহলদেশীয় বৌদ্ধ পণ্ডিতদের আমন্ত্রণে তিনি সিংহল যান। সেখানকার পণ্ডিতমণ্ডলী তাকে ‘ত্রিপিটকাচাৰ্য’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তিরুপতিতে অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত প্ৰাচ্যবিদ্যা সম্মেলনের (১৯৪০) তিনি ‘প্রাকৃত’ শাখার ও ১৯৪৫ খ্রী. অল ইন্ডিয়া হিস্ট্রি কংগ্রেসের অধিবেশনে প্ৰাচীন ভারতীয় শাখার সভাপতি ছিলেন। ১৯৪৮ খ্রী. এশিয়াটিক সোসাইটির সম্মানিত ফেলো হন এবং সোসাইটি তাকে বিমলাচরণ লাহা স্বর্ণপদক প্ৰদান করে। রচিত উল্লেখযোগ্য গ্ৰন্থ: ‘A History of Pre-Buddhist Indian Philosophy’, ‘A Prolegomenon to the History of Buddhist Philosophy’, ‘The Ajivakas’, ‘Barthut inscriptions’, ‘inscriptions of Ashoka’ (3 Vols.), ‘Prakrit Dhammapada’, ‘Philosophy of Progress’ ‘বৌদ্ধকোষ’, ‘মধ্যমনিকায়’, ‘বৌদ্ধপরিণয়’ প্রভৃতি। তিনি দীর্ঘদিন ‘ইন্ডিয়ান কালচার’ নামে গবেষণামূলক ইংরেজী পত্রিকার সম্পাদক-মন্ডলীর অন্যতম ছিলেন।
পূর্ববর্তী:
« বেণীমাধব দাস
« বেণীমাধব দাস
পরবর্তী:
বেণীমাধব মুখোপাধ্যায় »
বেণীমাধব মুখোপাধ্যায় »
Leave a Reply