বিষ্ণু দে (১৮-৭-১৯০৯ – ৩-১২-১৯৮২) আদি নিবাস হাওড়া। কলিকাতার পটলডাঙ্গার বিখ্যাত শ্যামাচরণ দে বিশ্বাসের পরিবারে জন্ম। অ্যাটনি অবিনাশচন্দ্ৰ। প্ৰখ্যাত কবি ও শিল্পানুরাগী। ১৯৩৪ খ্রী. কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজী সাহিত্যে এম-এ পাশ করার আগের বছরই তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘উর্বশী ও আর্টেমিস’ প্রকাশিত হয়। প্রকাশক বুদ্ধদেব বসু। ১৯৩৬ খ্রী ‘চোরাবালি’ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের পরই তাঁর কবিখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। ‘পরিচয় পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। গদ্যে, পদ্যে, বাংলায়, ইংরেজীতে তিনি অনেক লেখা লিখেছেন। শুধু সাহিত্য বিষয়েই নয় শিল্প, সঙ্গীত ও সংস্কৃতির বিবিধ বিষয় নিয়ে তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত রচনা অভিনন্দিত হয়েছে। সাধারণ কাব্যপাঠকের কাছে তাঁর কবিতা কখনো কখনো দুর্বোধ্যতার নজীর হয়ে উঠেছে। খ্যাতনামা এই কবি ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়ের অনুরাগী সতীর্থ এবং চিত্রশিল্পী যামিনী রায়ের আবিষ্কর্তা বন্ধু। ‘ক্যালকাটা গুপ সেন্টারে’র সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। ১৯৩৩ খ্রী. থেকে ৭৭ খ্ৰী. পর্যন্ত তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ প্ৰায় ১৭ টি। অনুবাদ কবিতা ‘বিদেশী ফুল’, প্রবন্ধ নিবন্ধের বইঃ ‘রুচি ও প্ৰগতি’, ‘সাহিত্যের ভবিষ্যৎ, ‘এলোমেলো জীবন ও শিল্পসাহিত্য’, ‘সাহিত্যের দেশ বিদেশ’, ‘মাইকেল, রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য জিজ্ঞাসা’, ‘জনসাধারণের রুচি ও যামিনী রায়’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। ‘দ্য পেন্টিংস অব রবীন্দ্রনাথ টেগোর’, ‘ইন্ডিয়া অ্যান্ড মডার্ন আর্ট’ প্রভৃতি কয়েকটি পুস্তিকা লিখেছেন। তাঁর সম্পাদিত গ্ৰন্থ ‘একালের কবিতা’। সাহিত্য কৃতীর জন্য জ্ঞানপীঠ পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। রুশতী পঞ্চশতীর জন্য ‘সোভিয়েত ল্যান্ড পুরস্কার’ পেয়েছেন। ‘ছড়ানো এই জীবন’ তাঁর স্মৃতিচিত্ৰণ। ‘ইন দ্য সান অ্যান্ড ইন দ্য রেইন’ নামে রচনা সংকলনের প্রাপ্য। রয়্যালটি কমিউনিস্ট পার্টিতে দান করেছিলেন। সোভিয়েট সুহৃদ সমিতি, প্রগতি লেখক শিল্পী সংঘ, ভারতীয় গণনাট্য সংঘ প্রভৃতি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
পূর্ববর্তী:
« বিষ্ণু দে
« বিষ্ণু দে
পরবর্তী:
বিষ্ণুচন্দ্ৰ চক্রবর্তী »
বিষ্ণুচন্দ্ৰ চক্রবর্তী »
Leave a Reply