বিশ্বেশ্বর শিবাচাৰ্য (১৩শ শতাব্দী)। গৌড়দেশের রাঢ় প্রদেশের অধিবাসী বিশ্বেশ্বর ধর্মশভু-নামক শৈবগুরুর কাছে দীক্ষা লাভ করে বেদাদি শাস্ত্ৰ অধ্যয়ন করেন। কাকতীয়-রাজ, মালব-রাজ, কলচুরি-রাজ, চোল-রাজ ও অন্যান্য রাজগণ তাঁর মন্ত্রশিষ্য ছিলেন। ওড়িশার দক্ষিণে কাকতীয়-রাজ গণপতির আমলে সেখানে তাঁর বিশেষ ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি ছিল। বঙ্গের বহু শৈবাচার্য ও কবি ঐ রাজা কর্তৃক বিশেষভাবে পুরস্কৃত হন। গণপতির কন্যা রুদ্রদেবী রাজত্ব পেয়ে বিশ্বেশ্বর-শস্তুকে কৃষ্ণা নদীর দক্ষিণতীরে মন্দর গ্রাম ও অন্যান্য কয়েকটি গ্রাম ও ভূমি দান করেন (১২৬১)। মন্দর গ্রামে তিনি শিবমন্দির, মঠ ও অন্নসত্ৰ স্থাপন করেন। এই অন্নসত্রে ব্ৰাহ্মণ-চণ্ডাল-নির্বিশেষে সকলকে আহারাদি দানের ব্যবস্থা ছিল। প্রদত্ত জমিতে বহু ব্ৰাহ্মণ পরিবারকে বসিয়ে জনপদের নাম দেন ‘বিশ্বেশ্বর গোলকী’। অন্যান্য সম্পত্তির আয় থেকে তিনি শৈবদের মঠ, ছাত্রদের ভরণপোষণ, মাতৃমন্দির ও দাতব্য চিকিৎসালয়ের ব্যয় নির্বাহ করতেন। এছাড়া নিজের নামানুসারে ‘বিশ্বেশ্বর নগর’ ও ‘বিশ্বেশ্বর লিঙ্গ’ প্ৰতিষ্ঠা করেন।
পূর্ববর্তী:
« বিশ্বেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়
« বিশ্বেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়
পরবর্তী:
বিষ্ণু চট্টোপাধ্যায় বা বিষ্টু ঠাকুর »
বিষ্ণু চট্টোপাধ্যায় বা বিষ্টু ঠাকুর »
Leave a Reply