বিভূতিচন্দ্ৰ (১১/১২শ শতাব্দী)। উত্তরবঙ্গে গঙ্গা ও করতোয়ার সঙ্গমে রামপাল-প্রতিষ্ঠিত জগদল-বিহারের অন্যতম প্রধান ভিক্ষু বিভূতিচন্দ্রের জন্ম রাজবংশে। ত্যাঙ্গুর ঐতিহ্যমতে তিনি ছিলেন মহাপণ্ডিত, আচাৰ্য, উপাধ্যায় এবং একাধারে গ্রন্থকার, টীকাকার, অনুবাদক ও সংশোধক। তিনি কিছুকাল নেপালে ও তিব্বতে বাস করেছিলেন। তাঁর রচিত কয়েকখানি সংস্কৃত গ্ৰন্থ আছে। তিনি তিববতীতে অনেক গ্ৰন্থ অনুবাদ করেছিলেন। লুই-পার দুটি গ্রন্থের এবং অভয়াকরের দুই বা ততোধিক গ্রন্থের অনুবাদ তাঁরই রচনা। তিনি শান্তিদেব-রচিত বোধিচর্যাবতারের একখানি টীকা লিখেছিলেন। তাঁর রচিত ‘অমৃত কণিকা’ নামে নামসংগীতির টীকা কালচক্ৰযানের মতে লিখিত হয়েছিল। স্বল্পকালস্থায়ী এই প্ৰসিদ্ধ মহাবিহারের অন্যান্য স্বনামধন্য আচাৰ্য ছিলেন দানশীল, মোক্ষাকর গুপ্ত, শুভাকর গুপ্ত, ধর্মাকর প্রমুখ।
পূর্ববর্তী:
« বিবেকানন্দ, স্বামী
« বিবেকানন্দ, স্বামী
পরবর্তী:
বিভূতিভূষণ দাশগুপ্ত »
বিভূতিভূষণ দাশগুপ্ত »
Leave a Reply