বিনয়েন্দ্রনাথ সেন (২৫-৯-১৮৬৮ – ১২-৪-১৯১৩) মধুসূদন। ১৮৮৯ খ্রী. ইতিহাসে ও ১৮৯০ খ্ৰী. দর্শনশাস্ত্রে এম.এ. পাশ করে তিনি প্রথমে বহরমপুর কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক হন। ১৮৯১ খ্রী. ভাগলপুরের তেজনারায়ণ জুবিলী কলেজে ও ১৮৯৩ খ্রী. প্রেসিডেন্সী কলেজে অধ্যাপকরূপে যোগ দেন। অল্প বয়স থেকেই কেশবচন্দ্রের অনুগামী ছিলেন এবং তাঁর আদর্শে প্রার্থনাসভা প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর দুই সহযোগী ছিলেন প্রমথলাল সেন ও মোহিতচন্দ্ৰ সেন। ভাই প্ৰতাপচন্দ্ৰ ও কৃষ্ণবিহারী সেনের নেতৃত্বে এই তিন বন্ধু নববিধান ব্ৰাহ্মসমাজের যাবতীয় আন্দোলন চালাতেন। ১৮৯৭ খ্ৰী. তিনি হ্যারিসন রোডে ‘ফ্রেটারনাল হোম’ নামে ছাত্রাবাস প্রতিষ্ঠা ও নিজ তত্ত্বাবধানে তাঁর পরিচালনা করতে থাকেন। ১৮৯৮ খ্রী. কলিকাতায় প্লেগ দেখা দিলে তিনি ফ্রেটারনাল হোমের পক্ষ থেকে সেবা কাৰ্য চালান। তৎকালীন বহু সুধী ব্যক্তি তাঁর প্রার্থনা-সভায় যোগ দিতেন; তাদের মধ্যে আচার্য ব্ৰজেন্দ্রনাথ শীলের নাম উল্লেখযোগ্য। ভাই প্ৰতাপচন্দ্রের সহকর্মিরূপে ‘Youngmen & Interpretation’ সংস্থার ও ‘Theistic Endeavour Society’র সভাপতি হন। ১৯০৫ খ্রী ব্ৰাহ্মসমাজের প্রতিনিধি হয়ে আন্তর্জাতিক উদারধর্মাবলম্বীদের সম্মেলনে জেনেভায় ও পরে আমেরিকায় যান। ১৯০৬ খ্রী. দেশে ফেরেন। বহুকাল কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য, কলেজসমূহের পরিদর্শক ও ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউটের সম্পাদক ছিলেন। ১৯০৬ খ্ৰী. ব্ৰাহ্ম বালকবালিকাদের নীতি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন ও পত্নী শকুন্তলা দেবীর সাহায্যে বিদ্যালয়টি পরিচালনা করেন। তা ছাড়া তিনি নিজে ব্রহ্মবিদ্যালয়, নীতি বিদ্যালয়, শ্রমজীবি বিদ্যালয়, ভিক্টোরিয়া ইনস্টিটিউশন প্রভৃতির কাজ দক্ষতার সঙ্গে চালাতেন। ১৯০৯ খ্রী. লাহোরে অনুষ্ঠিত ভারতীয়। একেশ্বরবাদী সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন। রচিত গ্ৰন্থ ও প্রবন্ধাবলী: ‘The Pilgrim’, ‘Lectures and Essays’, The Intellectual ideal’, ‘আরতি’, ‘গীতা অধ্য্যন’ প্রভৃতি।
পূর্ববর্তী:
« বিনয়ভূষণ দত্ত
« বিনয়ভূষণ দত্ত
পরবর্তী:
বিপদবারণ সরকার »
বিপদবারণ সরকার »
Leave a Reply