বিনয়কৃষ্ণ বসু (১১-৯-১৯০৮ – ১৩-১২-১৯৩০) রাইতিভোর—ঢাকা। রেবতীমোহন। কলিকাতা রাইটার্স বিল্ডিংস-এর ‘অলিন্দ যুদ্ধে’র বীরত্রয়ীর নেতা। তিনি ঢাকার বিপ্লবী নেতা হেমচন্দ্র ঘোষের প্রভাবে তাঁর গুপ্ত দল ‘মুক্তি সঙ্ঘে’র সঙ্গে যুক্ত হন। সঙেঘর মুখপত্র ‘বেণু’ গ্রুপের সঙ্গেও তাঁর যোগ ছিল এবং ১৯২৮ খ্ৰী. গঠিত ‘বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স’-এ বেণু গ্রুপের অন্যদের সঙ্গে তিনিও যোগ দিয়ে ঢাকায় বিভি, দলের এক দৃঢ় সংগঠন গড়ে তোলেন। ঢাকা মিডফোর্ড মেডিক্যাল স্কুলে ডাক্তারী পড়ার সময় ২৯-৮-১৯৩০ খ্রী. তিনি ঢাকার কুখ্যাত পুলিস অফিসার লোম্যানকে হত্যার পর আত্মগোপন করেন। পরে তাঁর ওপর কারাধ্যক্ষ সিম্পসন ও স্বরাষ্ট্র সচিব মারকে হত্যা করার দায়িত্ব পড়ে। দলনেতাঁর নির্দেশে দীনেশ গুপ্ত ও বাদল গুপ্তকে নিয়ে তিনি ৮-১২-১৯৩০ খ্রী. রাইটার্স বিল্ডিংস-এ গিয়ে সিম্পসনকে হত্যা করেন। পুলিস তাদের বেষ্টন করলে তারা ধরা না দিয়ে রিভলভার হাতে লড়াই চালিয়ে যান। গুলি ফুরিয়ে এলে তিনজনেই উগ্ৰ বিষ খেয়ে ও নিজেদের মাথায় গুলি করে প্ৰাণ বিসর্জনের চেষ্টা করেন। বাদল ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং বিনয় ও দীনেশকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিনয় মাথার ব্যান্ডেজ আলগা করে ক্ষতস্থানে আঙুল চালিয়ে ক্ষত বিষাক্ত করে তোলেন। এভাবে ৫ দিন পরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। অস্ত্ৰোপচার ও চিকিৎসার ফলে দীনেশ সুস্থ হয়ে উঠলে বিচারে তাঁর ফাঁসি হয়। বর্তমানে রাইটার্স বিল্ডিংস-এর সম্মুখস্থ দীঘি ও বাগান স্বাধীনতা যুদ্ধের এই বীরত্রয়ীর নামাঙ্কিত।
পূর্ববর্তী:
« বিনয়কৃষ্ণ দেব
« বিনয়কৃষ্ণ দেব
পরবর্তী:
বিনয়তোষ ভট্টাচাৰ্য »
বিনয়তোষ ভট্টাচাৰ্য »
Leave a Reply