বনোয়ারীলাল গোস্বামী ১ (১২৬৭? – বৈশাখ ১৩৪৫ ব) হাপাসিয়া-পাবনা। মোক্তারী পাশ করে আইন ব্যবসায় শুরু করেন। কর্মক্ষেত্র বহরমপুর শহরে একটি সাহিত্য সমিতি ও সাংবাদিক সঙ্ঘ স্থাপন করেন। বৈষ্ণব সাহিত্য বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় বহু প্ৰবন্ধও রচনা করেছেন। ‘মুর্শিদাবাদ হিতৈষী’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ৪৫ বছর তিনি তাঁর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ব্যঙ্গ কবিতা লিখেছেন এবং কয়েকটি কবিতাগ্রন্থও রচনা করেছেন। রচিত উল্লেখযোগ্য বৈষ্ণব গ্ৰন্থ : ‘সাধক চিন্তামৃত’ ও ‘নরোত্তম আশ্রয় নির্ণয়’। দীর্ঘদিন বহরমপুর পুরাতন্ত্রের সদস্য ছিলেন।
বনোয়ারীলাল গোস্বামী ২ (১৮৫৬ – ১৯৪৮) শান্তিপুর—নদীয়া। পণ্ডিত জয়গোপাল। শিক্ষকতা বৃত্তি নিয়ে ব্ৰহ্মদেশে, বিহারের ধানবাদে ও পরে রংপুরের গাইবান্ধায় জীবন অতিবাহিত করেন। কবি-সাহিত্যিক। বঙ্গদর্শন, প্রবাসী, ভারতবর্ষ, মানসী ও মর্মবাণী, বিচিত্রা, আত্মশক্তি, নব্যভারত প্রভৃতি পত্রিকার লেখক ছিলেন। ‘ব্যঙ্গ কবি’ হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেন। রচিত গ্ৰন্থ : ‘বেনুবন’, ‘পোলাও’, ‘খিচুরি প্রভৃতি। কবি তরলিকা সান্যাল তাঁর কন্যা। ভ্ৰাতা মোহনলাল (১৮৫৮—১৯৩০?) বৈষ্ণব ধর্ম প্রচারে কীর্তন গান, ভাগবত পাঠ ও কথকতায় প্ৰসিদ্ধ লাভ করেছিলেন।
Leave a Reply