প্রমথনাথ তর্কভূষণ, মহামহোপাধ্যায় (১৮৬৫ – ১৯৪৪) ভাটপাড়া-চব্বিশ পরগনা। কাশীর সুপ্রতিষ্ঠিত অধ্যাপক তারাচরণ তর্করত্ন। মহামহোপাধ্যায় রাখালদাস ন্যায়রত্ন তাঁর জ্যেষ্ঠতাত। প্রমথনাথ কাশীর দ্বারভাঙ্গা পাঠশালায় সাহিত্যের অধ্যাপক রূপে কৰ্মজীবন শুরু করেন। ১৮৯৮ খ্রী. কলিকাতা সংস্কৃত কলেজের স্মৃতির অধ্যাপক ও কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর শ্রেণী প্রবর্তিত হলে তাঁর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হন। ১৯২২ খ্রী. সংস্কৃত কলেজ থেকে অবসর নিয়ে ১৯২৩ খ্রী. বারাণসী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্যবিদ্যা বিভাগের অধ্যক্ষপদ গ্ৰহণ করেন। ১৯৪০ খ্রী. তিরুপতিতে অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত প্ৰাচ্যবিদ্যা সম্মেলনের বৈদিক শাখার তিনি সভাপতি ছিলেন। ময়মনসিংহের সম্মেলনের ভাষণে তিনি হিন্দু সমাজবিধির কালোচিত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তাঁর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কার্যত হিন্দু অনুন্নত জাতির উন্নতির জন্য পণ্ডিত মদনমোহন মালব্যের সহযোগিতা করে রক্ষণশীল হিন্দুদের বিরাগভাজন হন। ১৯১১ খ্রী. ভারত সরকার তাকে ‘মহামহোপাধ্যায় এবং ১৯৪২ খ্রী. বারাণসী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় ডি. লিট. উপাধি প্ৰদান করেন। বহু সংস্কৃত ও বাংলা গ্ৰন্থ ও প্রবন্ধ রচনা এবং বহু সংস্কৃত গ্রন্থের বঙ্গানুবাদ করেন। তাঁর রচিত মৌলিক বাংলা গ্ৰন্থ ‘কর্মযোগ’ (১৯০২)। অন্যান্য গ্ৰন্থ : ‘মায়াবাদ’, ‘সনাতন হিন্দু’, ‘বাঙ্গালার বৈষ্ণবধর্ম’, ‘শাক্যসিংহ’, বৌদ্ধ যুগের ঐতিহাসিক উপন্যাস ‘মণিভদ্র’ প্রভৃতি।
পূর্ববর্তী:
« প্রমথ সমাদ্দার
« প্রমথ সমাদ্দার
পরবর্তী:
প্রমথনাথ দত্ত »
প্রমথনাথ দত্ত »
Leave a Reply