প্রমথ চৌধুরী (৭-৮-১৮৬৮ – ২-৯-১৯৪৬) যশোহর। দুর্গাদাস। পাবনা জেলার হরিপুর গ্রামের জমিদার বংশের সন্তান। কলিকাতা হেয়ার স্কুল থেকে এন্ট্রান্স, ১৮৮৯ খ্রী. প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে দর্শনে প্ৰথম শ্রেণীতে বিএ, এবং ১৮৯০ খ্রী. ইংরেজীতে প্ৰথম শ্রেণীতে এম.এ. পাশ করে ১৮৯৩ খ্রী. বিলাত যান এবং ব্যারিস্টার হয়ে ফিরে এসে কলিকাতা হাইকোটে যোগদান করেন। কিন্তু বেশি দিন ব্যারিস্টারি করেন নি। ১৮৯৯ খ্রী. সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কন্যা ইন্দিরা দেবীকে বিবাহ করেন। আইন কলেজে অধ্যাপনা করতেন। কিছুকাল ঠাকুর এস্টেট ও দক্ষিণেশ্বরের দেবোত্তর এস্টেটের ম্যানেজার ছিলেন। ইংরেজী ও ফরাসী সাহিত্যে সুপণ্ডিত এবং বহু পঠনশীল সাহিত্যিক ছিলেন। সঙ্গীতের প্রতিও তাঁর অনুরাগ ছিল। বাংলা সাহিত্যে তাঁর বিশেষ অবদান-সাহিত্যে চলিত ভাষাকে মর্যাদা দান এবং ১৯১৪ খ্ৰী ‘সবুজপত্ৰ’ প্ৰকাশ। এই পত্রিকাটিকে কেন্দ্র গড়ে উঠেছিল। অনেক বিদগ্ধ অথচ হালকা প্ৰবন্ধ রচনা করেন। তাঁর ছদ্মনাম বীরবল থেকে বাংলা সাহিত্যে বিশিষ্ট বীরবলী ধারা প্রবর্তিত হয়। তিনিই প্ৰথম স্যাটায়ারিস্ট বা বিদ্যুপাত্মক প্রবন্ধ-রচয়িতা। প্ৰবন্ধকার হিসাবে খ্যাত হলেও কবিতা এবং গল্পও রচনা করেছেন। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সনেট পঞ্চাশৎ’ (১৯১৩) এবং দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘পদচারণ’ (১৯১৯)। ফরাসী সনেটরীতি ট্রিয়লেট, তের্জারিমা প্রভৃতি বিদেশী কাব্যবন্ধ প্রবর্তিত করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ ‘চার-ইয়ারি কথা’, ‘আহুতি’, ‘নীললোহিত প্রভৃতি। ১৯৪৪ খ্ৰী. কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গিরিশ ঘোষ’ বক্তারূপে তাঁর ভাষণে বাংলা সাহিত্যের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেন। ১৯৪৯ খ্রী. কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘জগত্তারিণী পদক’ লাভ করেন। বিশ্বভারতী পত্রিকা সম্পাদনা করেছিলেন।
পূর্ববর্তী:
« প্রমথ চৌধুরী
« প্রমথ চৌধুরী
পরবর্তী:
প্রমথ সমাদ্দার »
প্রমথ সমাদ্দার »
Leave a Reply