প্রভাসচন্দ্ৰ লাহিড়ী (১৮৯৩ – ২-১-১৯৭৪) আরানী-রাজশাহী। জ্যোতিষচন্দ্র। গ্রামের ছাত্রবৃত্তি স্কুলে পড়ার সময় স্বদেশী আন্দোলনে যোগ দেন। নাটোর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বৃত্তিসহ প্ৰবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। রাজশাহী কলেজে পড়ার সময় স্বর্ণপদক লাভ করেন। মহারাজ ত্ৰৈলোক্যনাথের সান্নিধ্যে এসে অনুশীলন সমিতির সভ্য হিসাবে উত্তরবঙ্গের বিশিষ্ট সংগঠকরূপে আত্মপ্রকাশ করেন। বিখ্যাত ধরাইল ডাকাতিতে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা ছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালে বিপ্লবী সংগঠনগুলির ওপর সরকারী দমননীতি চরমে উঠলে তিনি দলের নেতার নির্দেশে কলিকাতায় এসে কলেজে ভর্তি হন এবং সংগঠনের কাজ চালাতে থাকেন। এখানেও প্ৰকাশ্যে কাজ চালান অসম্ভব হয়ে পড়ায় আত্মগোপন করে আসামের গৌহাটিতে স্থানান্তরিত সমিতির প্রধান কেন্দ্রে চলে যান। সেখানে পুলিসবাহিনী কর্তৃক সমিতির বাড়ি আট গাঁ হাউস’ আক্রান্ত হলে তিনি অন্যান্য বিপ্লবীদের সঙ্গে সেই ‘গৌহাটি সংগ্রামে’ অংশগ্রহণ করেন এবং আহত হওয়া সত্ত্বেও পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। পরে ১০-১-১৯১৮ খ্রী. গ্রেপ্তার হয়ে ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করেন। ১৯৩০ খ্ৰী আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দিয়ে কারারুদ্ধ হন। জীবনের ২২ বছর জেলে ও পলাতক অবস্থায় কাটিয়েছেন। ১৯৪৬ খ্ৰী. মুক্তিলাভের পর বঙ্গীয় আইন সভার সদস্য নির্বাচিত হন। দেশবিভাগের পর পূর্ববঙ্গে থাকেন এবং ১৯৫২ খ্ৰী. সেখানে আইন সভার সদস্যপদ লাভ করেন। পূর্ববঙ্গ মন্ত্রিসভায় তিনি দু’বার জেল ও অর্থবিভাগের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন। ১৯৬৫ খ্ৰী. বিপ্লবী ভ্ৰাতা জিতেশচন্দ্রের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কলিকাতায় আসেন এবং ভারতেই থেকে যান। রচিত গ্রন্থ: ‘বিপ্লবী জীবন’, ‘India Partitioned and Minorities in Pakistan’, ‘পাক-ভারতের রূপরেখা, ‘মুক্তি-সৈনিকের ডায়েরী প্রভৃতি।
পূর্ববর্তী:
« প্রভাসচন্দ্র বল
« প্রভাসচন্দ্র বল
পরবর্তী:
প্রমথ চৌধুরী »
প্রমথ চৌধুরী »
Leave a Reply