প্ৰভাতচন্দ্ৰ বসু, সিআইই (৩-৭-১৮৭৭ – ৮-৭-১৯৬১)। জব্বলপুরে জন্ম। পিতামহ ভৈরবচন্দ্ৰ। ১৮৫৭ খ্রী. সিপাহী বিদ্রোহের আগেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে জব্বলপুরে এসে বসবাস শুরু করেন। পিতা প্ৰসন্নকুমারের ঔষধের ব্যবসায় ছিল। এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন পাশ করে জব্বলপুরে ওকালতি শুরু করে খ্যাতি অর্জন করেন। বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন। কয়েকবার জব্বলপুর পৌরসভারও সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯২৫ খ্ৰী. জব্বলপুর শহরে প্লেগ মহামারীতে তাঁর সেবাকার্য স্মরণীয়। ১৯২৯ খ্রী. সেন্ট্রাল প্ৰভিন্স ও বেরারের ব্যবস্থাপক সভার সদস্য ও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী নির্বাচিত হন। জব্বলপুরের বিভিন্ন গণ-প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। খেলাধুলার ব্যাপারেও বিশেষ আগ্রহ ছিল। শহরের কিশোর ও যুবকদের ক্রীড়া এবং স্বাস্থ্যচর্চার জন্য তিনি জমি দান করেছিলেন। বহু-ভাষাবিদ ছিলেন। পত্নীর নামে ‘সিদ্ধিবালা বসু বাংলা গ্রন্থাগার’ প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় এই শহরে প্ৰথম বয়স্কাউট অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়। ভাল শিকারী ছিলেন। হিন্দী ভাষায় তাঁর রচিত গ্ৰন্থ ‘মধ্যপ্রদেশ মে শিকার’।
পূর্ববর্তী:
« প্ৰভাতকুমার রায়চৌধুরী
« প্ৰভাতকুমার রায়চৌধুরী
পরবর্তী:
প্ৰভাবতী দেবী, সরস্বতী »
প্ৰভাবতী দেবী, সরস্বতী »
Leave a Reply