প্রবোধচন্দ্র গুপ্ত (১২-৮-১৯০২ – ২-৪-১৯৮০) গাইবাঁধা-রংপুর। ভুবনমোহন। ১৯২১ খ্রী. গান্ধীজীর সত্যাগ্রহ আন্দোলনের ডাকে সারা দিয়ে ঢাকার টাঙ্গীবাড়ীতে কংগ্রেস অফিস ও পরে একটি জাতীয় উচ্চবিদ্যালয় স্থাপন করেন। ঐ অঞ্চলে সংগঠনমূলক কাজের জন্য ‘যমুনালাল বাজাজ তহবিল থেকে মাসিক ২৫ টাকা সাহায্য পেতেন। বঙ্গীয় কংগ্রেস কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯২৭ খ্রী. সেখানের কাজ গুটিয়ে কলিকাত৷য় আসেন এবং জীবনলাল চট্টোপাধ্যায়ের প্রেরণায় যুগান্তর দলে যোগ দেন। ১৯২৮ খ্রী. স্কটিশ চার্চ কলেজের বি-এ ক্লাশের ছাত্র থাকা-কালে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সী স্ট্রডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন গঠন করেন ও তাঁর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ঐ বছর কলিকাতায় অনুষ্ঠিত কংগ্রেস অধিবেশনে যুব-কংগ্রেসের স্বেচ্ছাসেবকদের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। ১৯২৯ খ্রী. জাতীয় কংগ্রেসের লাহোর অধিবেশনে ঢাকার অন্যতম প্ৰতিনিধি হিসাবে যোগ দেন। ১৯৩০ খ্রী. চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখলের ঘটনার পর আত্মগোপন-কালে ধরা পড়ে হিজলী ও দেউলী ক্যাম্পে আটক থাকেন। এ সময় রাজনৈতিক পুস্তক পাঠ ও আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মার্ক্সবাদের প্রতি আকৃষ্ট হন। ১৯৩৮ খ্রী. মুক্তি পাবার পর ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দিয়ে ঢাকা জেলায় তাঁর কর্মক্ষেত্ৰ নির্দিষ্ট করেন। কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দিলেও কংগ্রেসের আন্দোলন বর্জন করেন নি। কংগ্ৰেসকমীদের সঙ্গে সম্মেলন করার জন্য ১৯৩৮ খ্রী. তাঁর ৬ মাসের জেলা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুতে অন্তরীণ থাকা-কালে আত্মগোপন করে যুদ্ধবিরোধী পোস্টার ও পুস্তিকা প্ৰকাশ করেন। ১৯৪৩ খ্রী. গ্রেপ্তারী পরোয়ানা প্ৰত্যাহৃত হলে প্রকাশ্যে জাপানী আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রচারকার্যে অংশ নেন। ১৯৪৬ খ্রী. পারিবারিক কারণে পার্টির সারাক্ষণের কাজ ত্যাগ করে শিক্ষকতার চাকরি নিতে হয়। ১৯৫০ খ্রী ঢাকার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ফলে কলিকাতায় চলে এসে নেতাজীনগর কলোনীতে বসবাস শুরু করেন। ১৯৫৪ খ্রী. কমিউনিস্ট পার্টি ছেড়ে ফরওয়ার্ড ব্লক দলের সভ্য হন। এই দলের নির্বাচনী-নীতি সমর্থন না করতে পারায় ১৯৭২ খ্রী. দলের সদস্যপদ ত্যাগ করেন। নেতাজীনগর বিদ্যামন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক। ১৯৫৭ খ্ৰী. স্টেট ইলেকট্রিসিটি বোর্ড ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি ছিলেন।
পূর্ববর্তী:
« প্রফুল্লরঞ্জন দাশ
« প্রফুল্লরঞ্জন দাশ
পরবর্তী:
প্রভাতচন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায়, জংলী গাঙ্গুলী »
প্রভাতচন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায়, জংলী গাঙ্গুলী »
Leave a Reply