প্রতুলচন্দ্র সরকার, যাদুকর পি.সি. সরকার (২৩-২-১৯১৩ – ৬-১-১৯৭১) টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ। ভগবানচন্দ্ৰ। আই.এ. পড়ার সময় যাদুবিদ্যা শেখেন এবং সুনাম অর্জন করেন। পরিবারে যাদুবিদ্যার চর্চা ছিল। তাঁর যাদুবিদ্যার গুরু গণপতি চক্রবর্তী। ১৯৩৩ খ্রী. থেকে যাদুবিদ্যাকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করে ১৯৩৪ খ্ৰী. প্রথম বিদেশ-ভ্রমণে যান এবং বর্মা, শ্যাম, সিঙ্গাপুর ও চীন সফর করেন। ক্রমে পৃথিবীর ৬০/৭০ টি দেশে যাদুবিদ্যা প্ৰদৰ্শন করে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ যাদুকররূপে পরিগণিত হন। তিনিই প্ৰথম পাগড়ী মাথায় মহারাজার পোশাকে খেলা দেখাতেন। বহু প্ৰাচীন খেলার মূলসূত্র আবিষ্কার করেছিলেন। সর্বশ্রেষ্ঠ স্টেজ ম্যাজিকের জন্য দু’বার নিউ ইয়র্ক থেকে যাদুবিদ্যার শ্রেষ্ঠ পুরস্কার ‘দি ফিনিক্স অ্যাওয়ার্ড’ পান। এশিয়ায় একমাত্র তিনিই এ সম্মানের অধিকারী। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম ‘গোন্ড বার’ পুরস্কার, জার্মানী থেকে ‘সুবৰ্ণ লরেল মালা’ ও সর্বশ্রেষ্ঠ যাদুকরের সম্মান, ভারত সরকার কর্তৃক ‘পদ্মশ্ৰী’ উপাধি প্রভৃতি লাভ করেন।–অস্ট্রেলিয়ায় টেলিভিশনে, বিবিসি-তে, শিকাগোর ডাবলিউ. জি.এনটিভি-তে ও নিউ ইয়র্কের এনবিসি-তে ইন্দ্ৰজাল প্ৰদৰ্শন করেন। ১৯৬২ খ্রী. রুশ সরকারের আমন্ত্রণে সদলবলে মস্কো ও লেনিনগ্রাদে যাদুবিদ্যা প্ৰদৰ্শন করলে রুশ দেশও তাকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ যাদুকর হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। তাঁর এক্স-রে আই, কিরাত দিয়ে মানুষ কাটা, ওয়াটার অফ ইন্ডিয়া প্রভৃতি খেলা অবিস্মরণীয়। রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটির এবং আন্তর্জাতিক রোটারী ক্লাবের সদস্য ছিলেন। ভারত সরকার তাঁর নব-আবিষ্কৃত খেলাগুলিকে পেটেন্ট করে দিতেন। ১৩ ডিসেম্বর ১৯৭০ খ্ৰী. শেষবারের মত জাপান যান এবং সেখানে আশাহিকাওয়ার নিকটবতী জিগেৎসু শহরে মারা যান। রচিত ১৬টি গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য : ‘ছেলেদের ম্যাজিক’, ‘ম্যাজিকের কৌশল’, ‘দেশে দেশে হিপনোটিজম মেসমেরিজম’, ‘সম্মোহন বিদ্যা’ প্রভৃতি।
পূর্ববর্তী:
« প্রতিমা ঠাকুর
« প্রতিমা ঠাকুর
পরবর্তী:
প্রতুলচন্দ্ৰ চট্টোপাধ্যায়, স্যার »
প্রতুলচন্দ্ৰ চট্টোপাধ্যায়, স্যার »
Leave a Reply