প্ৰতাপচন্দ্র মজুমদার ১ (২-১০-১৮৪০ – ২০-৫-১৯০৫) বাঁশবেড়িয়া-হুগলী। গিরিশচন্দ্ৰ। হেয়ার স্কুল ও প্রেসিডেন্সী কলেজে পড়েন। ১৮৫৯ খ্রী. মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ও কেশবচন্দ্রের প্রভাবে ব্ৰাহ্মধর্মে দীক্ষিত হয়ে প্রচারকার্যে ব্ৰতী হন। ধর্মপ্রচারের জন্য কয়েকবার ইউরোপ ও আমেরিকা এবং একবার জাপান যান। ১৮৯৩ খ্রী. শিকাগো বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে যোগদান করেন এবং সেখানেই স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে পরিচিত হন। কুচবিহার বিবাহ উপলক্ষে ব্রাহ্মদের মধ্যে মতভেদ দেখা দিলে তিনি কেশবচন্দ্রের নববিধান সমাজেই থেকে যান। ১৮৭০ খ্রী. ইন্ডিয়ান মিরর পত্রিকা এবং ১৮৮৫ খ্ৰী. থেকে কিছুদিন ইনটারপ্রিটার নামক ইংরেজী মাসিক পত্রিকা সম্পাদনা করেন। ১৮৮৯–১৮৯৫ খ্রী. কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো ছিলেন। ১৮৯১ খ্রী. ‘Society for the Higher Training of Young Men’ সমিতি গঠন করে তাঁর সম্পাদক হন। গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, রেভারেন্ড কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ এই সমিতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে এই সমিতির নাম ‘কলিকাতা ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট হয়। রচিত গ্রন্থ: ‘Oriental Christ’, ‘Heartbeats’, ‘Spirit of God’, ‘The Life and Teachings of Keshab Chandra Sen’ প্রভৃতি।
প্ৰতাপচন্দ্র মজুমদার ২ (১৮৫১ – ১৯২২) চাপড়া-নদীয়া। খ্যাতনামা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক। মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাশ করে প্রথমে চিকিৎসা ব্যবসায় আরম্ভ করেন। পরে অ্যালোপ্যাথিক ছেড়ে হোমিওপ্যাথিক মতে চিকিৎসায় ব্ৰতী হন ও অল্পকাল মধ্যেই প্রভূত সাফল্য অর্জন করেন। ১৮৯৩ খ্রী. আমেরিকায় ‘World Columbian Exposition’ নামক বিরাট সভায় চিকিৎসক হিসাবে আমন্ত্রিত হয়ে তার সহ-সভাপতি পদে বৃত হন। কলিকাতায় তাঁর প্রতিষ্ঠিত হোমিওপ্যাথিক হাসপাতাল ও স্কুল আছে। ডাঃ বিহারীলাল ভাদুড়ীর অল্পবয়স্কা বিধবা কন্যাকে বিবাহ করেছিলেন।
Leave a Reply