পরিমল গোস্বামী (১-৯-১৮৯৭ – ২৭-৬-১৯৭৬) রতনদিয়া–ফরিদপুর। সাহিত্যিক বিহারীলাল। বাল্যশিক্ষা পাবনা জেলার এক গ্রামে। পরে শান্তিনিকেতনে ও কলিকাতায় শিক্ষালাভ করেন। রবীন্দ্রোত্তর যুগে যেসব সাহিত্যিক বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছেন, তিনি তাদের অন্যতম। প্রবন্ধ, ব্যঙ্গাত্মক ও কৌতুকময় গল্প এবং রসরচনায় প্রসিদ্ধ ছিলেন। এমএ পাশ করার পর ‘প্রবাসী’, ‘শনিবারের চিঠি’ প্রভৃতির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শনিবারের চিঠির কিছুদিন সম্পাদনাও করেন। বিভিন্ন সংস্থার প্রচার অধ্যক্ষ ও বেতার ভাষ্যকাররূপে তার সুনাম ছিল। ১৯৪৫ – ১৯৬৪ খ্রী: যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগে ও রবিবারের আসরে কাজ করেন। সাহিত্যকীর্তি ছাড়াও তিনি বৈঠকী গল্পে ও আলোচনায় আসর জমিয়ে রাখতেন। ফটোগ্রাফীর ক্ষেত্রেও তার যথেষ্ট কৃতিত্ব ছিল। ‘এক-কলমী’ ছদ্মনামে বহুদিন যুগান্তরের পাতায় সরস ও ব্যঙ্গাত্মক রচনা লিখেছেন। রচিত গ্রন্থ : ‘পুরুষের ভাগ্য’, ‘স্মৃতি চিত্ৰণ’, ‘দ্বিতীয় স্মৃতি’, ‘পত্রস্মৃতি’, ‘আমি যাঁদের দেখেছি’, ‘যখন সম্পাদক ছিলাম’, ‘পথে পথে’, ‘ঘুঘু’, ‘মারকে লেঙ্গে’, ‘ম্যাজিক লণ্ঠন’, ‘সপ্তপঞ্চ’ প্রভৃতি।
Leave a Reply