পঞ্চানন তর্করত্ন (১৮৬৬ – ১৯৪০) ভাটপাড়া-চব্বিশ পরগনা। নন্দলাল বিদ্যারত্ন। ১০/১১ বছর বয়সে সংস্কৃতে কবিতা রচনার ক্ষমতা জন্মে। ১৩ বছর বয়সে তিনি কাব্যের উপাধি পাশ করেন। পরে ভাটপাড়ার বিখ্যাত পণ্ডিত মহামহোপাধ্যায় শিবচন্দ্র সার্বভেীমের কাছে ন্যায়শাস্ত্ৰ অধ্যয়ন করে ‘তর্করত্ন’ উপাধি প্ৰাপ্ত হন। ১২৯৩ ব বঙ্গবাসী কাৰ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী যোগেন্দ্ৰচন্দ্র বসুর অর্থানুকূল্যে ঊনবিংশতি সংহিতাঁর অনুবাদ আরম্ভ করেন। বঙ্গবাসী কলেজে এফ.এ. ক্লাশ খোলা হলে অবৈতনিক সংস্কৃত অধ্যাপকের পদ গ্ৰহণ করে কিছুকাল কাজ করেন। পরে শারীরিক অসুস্থতার জন্য নিজ বাড়িতে ন্যায়শাস্ত্র অধ্যাপনায় প্রবৃত্ত হন। ১৯২৯ খ্রী. ভারত সরকার তাকে ‘মহামহোপাধ্যায়’ উপাধি দেন। কিন্তু হিন্দুর সমাজরীতিবিরোধী সরদা আইনের প্রতিবাদে তিনি ঐ উপাধি ত্যাগ করেন। শাক্তদর্শন বা শাক্তবাদে বিশ্বাসী এবং জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রতি আন্তরিক সহানুভূতিশীল ছিলেন। হিন্দুশাস্ত্র ও দর্শন সম্পর্কে নানা গ্ৰন্থ রচনা করেন ও অনেক সংস্কৃত গ্রন্থের বঙ্গানুবাদ করেন। এ ছাড়া নানা পত্র-পত্রিকায় তাঁর গল্প ও কবিতা প্রকাশিত হয়। চার বছর জন্মভূমি পত্রিকার সম্পাদনা করেন। বর্ণাশ্রম ধর্মের অন্যতম প্ৰধান সমর্থক ও বর্ণাশ্রম স্বরাজ্য সঙ্ঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। ১৩০৪ ব. ভট্টপল্লীতে সংস্কৃত বিদ্যালয় স্থাপন করেন। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সভাপতি ছিলেন। তাঁর বিভিন্ন গ্রন্থের মধ্যে ‘শ্ৰীমদভগবদ গীতা’, ‘সপ্তশতী’, ‘বেদান্তসূত্রের শক্তিভাষ্য’, ‘অধ্যাত্ম রামায়ণ’, ‘সর্বমঙ্গলদায়ঃ’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
পূর্ববর্তী:
« পঞ্চানন কর্মকার
« পঞ্চানন কর্মকার
পরবর্তী:
পঞ্চানন নিয়োগী »
পঞ্চানন নিয়োগী »
Leave a Reply