নিরঞ্জন সেনগুপ্ত (১৯০৪ – ৩-৯-১৯৬৯) ভারুকাঠি-নারায়ণপুর-বরিশাল। সর্বানন্দ। ছাত্রাবস্থায় অনুশীলন সমিতিতে যোগ দেন। কলিকাতা রিপন কলেজে পড়ার সময় ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলেন।, ১৯২৩ খ্রী. আইএস-সি পাশ করে গুপ্ত বিপ্লবী সংগঠন গরার জন্য বহরমপুর কলেজে ভর্তি হন। পরীক্ষার পূর্বে গ্রেপ্তার হয়ে ৪ বছর বিনা বিচারে আটক থাকেন। ১৯২৯ খ্রী. কলিকাতা কংগ্রেসের সময়ে বিভিন্ন বিপ্লবী দলের তরুণ কর্মীদের নিয়ে এক বিদ্রোহী দল গড়ে তোলেন এবং অস্ত্রসংগ্রহ ও বোমা তৈরির কাজে ব্যাপৃত হয়ে পড়েন। ‘মেছুয়াবাজার বোমা মামলায় তাঁর ৭ বছর দ্বীপান্তর দণ্ড হয়। আন্দামানে থাকাকালে কমিউনিস্ট মতবাদে বিশ্বাসী হন। ১৯৩৮ খ্রী. মুক্তি পেয়ে পার্টির সদস্য পদ লাভ করেন ও ইবি, রেলের শ্রমিক সংগঠনের কাজে আত্মনিয়োগ করেন। কিছুদিন ‘যুগান্তর’ দৈনিক পত্রিকার সাব-এডিটর ছিলেন। ১৯৪২ খ্রী. ‘জনযুদ্ধ পত্রিকার সম্পাদকীয় বোর্ডে সদস্য মনোনীত হন। ১৯৫৭ খ্রী. বিধান সভার সভ্য নির্বাচিত হয়ে (বীজপুর-চব্বিশ পরগনা) সভার কমিউনিস্ট ব্লকের সম্পাদকীয় কাজ করেন। ১৯৬২ খ্রী. টালিগঞ্জ কেন্দ্ৰ থেকে নির্বাচিত হন। এরপর কমিউনিস্ট পার্টি দ্বিধা-বিভক্ত হলে তিনি মার্ক্সবাদী দলে যোগ দেন। ১৯৬৭ খ্রী. এই দলের প্রার্থিরূপে বিধান সভার সদস্য হয়ে যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভায় উদ্বাস্তু ও ত্ৰাণমন্ত্রী হন। ১৯৬৯ শ্ৰী, উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ঐ একই দপ্তরের মন্ত্রী থাকাকালে তার মৃত্যু হয়।
পূর্ববর্তী:
« নিরঞ্জন বড়ুয়া
« নিরঞ্জন বড়ুয়া
পরবর্তী:
নিরঞ্জনপ্রসাদ চক্রবর্তী »
নিরঞ্জনপ্রসাদ চক্রবর্তী »
Leave a Reply