নিগমানন্দ সরস্বতী পরমহংস (১২৮৭ – ১৩-৮১৩৪২ বঙ্গাব্দ) কুতুবপুর-নদীয়া। ভুবনমোহন চট্টোপাধ্যায়। পূর্বাশ্রমের নাম নলিনীকান্ত। দারিয়াপুর মধ্যবঙ্গ বিদ্যালয় থেকে পাশ করে ঢাকা সার্ভে স্কুলে কয়েক বছর পড়েন। কিন্তু শেষ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হতেই ওভারসিয়ারের চাকরি পান। পত্নীবিয়োগের পর পরলোকে ও আত্মার অস্তিত্বে বিশ্বাসী হয়ে প্রথমে মাদ্রাজের অ্যাডায়ারে থিওসফিক্যাল সোসাইটির সঙ্গে যুক্ত হন। পরে তারাপীঠের সাধক বামাক্ষ্যাপার শরণ নেন এবং শেষে আজমীরের বৈদান্তিক সন্ন্যাসী সচ্চিদানন্দ সরস্বতীর কাছে সন্ন্যাস নিয়ে নিগমানন্দ নাম গ্ৰহণ করেন। অবিভক্ত বঙ্গের পাঁচটি বিভাগে পাঁচটি আশ্রম ও ‘ঋষি বিদ্যালয়’, কুতুবপুরে হাই স্কুল, দাতব্য চিকিৎসালয় ও আসামের কোকিলামুখে আসাম বঙ্গীয় সারস্বত মঠ স্থাপন করেন। ‘শঙ্করের মত আর গৌরাঙ্গের পথ’ এবং অসাম্প্রদায়িক ধর্মের বিস্তার তার প্রধান আদর্শ ছিল। রচিত উল্লেখযোগ্য গ্ৰন্থ: ‘ব্ৰহ্মচৰ্যসাধনা’, ‘জ্ঞানীগুরু’, ‘তান্ত্রিকগুরু’, ‘প্রেমিকগুরু’ প্রভৃতি। ‘আৰ্যদৰ্পণ’ মাসিক পত্রিকা প্রবর্তন করেন। শেষ-জীবনে অধিকাংশ সময়ে পুরীতে থাকতেন।
পূর্ববর্তী:
« নিখিলানন্দ, স্বামী
« নিখিলানন্দ, স্বামী
পরবর্তী:
নিজামুদ্দীন আউলিয়া »
নিজামুদ্দীন আউলিয়া »
Leave a Reply